সুকুমার সরকার, ঢাকা: রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ঢলে চরম বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ। নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে দেশটির অর্থনীতিতেও। তাই এবার মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে উদ্যোগী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর জন্য রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপের দাবি তুলেছেন তিনি।
[রোহিঙ্গা সমস্যায় রক্তাক্ত মায়ানমারের পাশেই ভারত, আশ্বাস মোদির]
জানা গিয়েছে, বুধবার রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশে রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধি রবার্ট ডি ওয়াটকিনসের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মায়ানমারে ফেরত পাঠাতে রাষ্ট্রসংঘের সাহায্য চান তিনি। এদিন রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধি রবার্ট ওয়াটকিনস প্রধানমন্ত্রীকে জানান, তাঁদের হিসাব অনুযায়ী সম্প্রতি প্রায় এক লক্ষ ২৬ হাজার শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। পরিসংখ্যান মতে গত কয়েক দশকে মায়ানমার থেকে প্রায় ৫ লক্ষ রোহিঙ্গারা অবৈধভাবে বাংলাদেশে এসে বসবাস করছে। ফলে প্রবল চাপ পড়ছে দেশের অর্থনীতির উপর। শুধু তাই নয়, জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও বড়সড় চ্যালেঞ্জ রোহিঙ্গারা। জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের একাংশের, এমনটাই জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।
[৩৬ ঘন্টার অভিযান শেষে, বাংলাদেশে নিকেশ ৭ জঙ্গি]
আগস্টের ২৪ তারিখ মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সেনা ও পুলিশের ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ‘দ্য আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি'(এআরএসএ) নামের জঙ্গি সংগঠন। পালটা অভিযানে নাম সরকারি বাহিনী। শুরু হয় রক্তক্ষয়ী সংঘাত। পৃথক ইসলামিক রাষ্ট্রের দাবি জানিয়ে বহুদিন ধরেই মায়ানমারে সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে ওই জঙ্গি সংগঠনটি। তারপরই প্রবল অভিযান শুরু করে মায়ানমার সেনা। ওই সংঘাতের ফলেই প্রাণ বাঁচাতে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র বাংলাদেশ ও ভারতে প্রবেশ করছে হাজার হাজার শরণার্থী। যদিও রোহিঙ্গাদের উপর হওয়া অত্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ, তবে শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে নারাজ ঢাকা।
The post রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে নারাজ বাংলাদেশ, রাষ্ট্রসংঘে আবেদন হাসিনার appeared first on Sangbad Pratidin.