shono
Advertisement

একের পর এক হত্যায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন, রোহিঙ্গা শিবিরে শুরু জঙ্গিদমন অভিযান

শরণার্থী শিবিরের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় রোহিঙ্গা জঙ্গিগোষ্ঠী আরসা।
Posted: 11:41 AM Nov 01, 2022Updated: 11:41 AM Nov 01, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রোহিঙ্গা শিবিরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে উদ্বিগ্ন প্রশাসন। বিগত দিনে একের পর এক রোহিঙ্গা নেতা খুনের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে অভিযান শুরু করা হয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

সংবাদমাধ্যমে ‘আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন’ জানিয়েছে, গত শুক্রবার থেকে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে শুরু হয়েছে ‘অপারেশন রুটআউট’। ব্যাটালিয়নের এসিসট্যান্ট সুপারিনটেনডেন্ট মহম্মদ ফারুক আহমেদের কথায়, “বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের পাশেই জুন্টার সেনাবাহিনী সঙ্গে একটি সশস্ত্র সংগঠনের লড়াই চলছে। এই কারণে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে জঙ্গিরা ঢুকে পড়েছে। রোহিঙ্গা শিবিরে লুকিয়ে রয়েছে ওই সন্ত্রাসবাদীরা। তাদের পাকড়াও করতে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে অভিযান শুরু করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬০ জনকে।”

[আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফের বাংলাদেশে শুরু ইলিশ শিকার, শীতের আগে কি বঙ্গে মিলবে রুপোলি শস্য?]

ক্রমে সন্ত্রাসবাদীদের চারণভূমি হয়ে উঠছে বাংলাদেশেরে (Bangladesh) রোহিঙ্গা শিবিরগুলি। পুলিশ ও প্রশাসনের হাজার চেষ্টা সত্ত্বেও সেখানে কিছুতেই থামছে না খুনোখুনির ঘটনা। গত মাসে এক রোহিঙ্গাকে ইসলামিক স্টেটের কায়দায় গলা কেটে খুন করে জঙ্গিরা। তার আগে বালুখালি ক্যাম্পে দুই রোহিঙ্গা নেতাকে খুন করেছিল জঙ্গিরা। পরপর এহেন ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে শরণার্থী ক্যাম্পে। রোহিঙ্গা নেতারা এসব ঘটনার জন্য জঙ্গি সংগঠন ‘আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি’ বা আরসাকে দায়ী করছেন। তাঁদের অভিযোগ, নিরাপত্তহীনতার কারণে রোহিঙ্গা নেতাদের অনেকে এখন শিবিরের বাইরে বসবাস করছেন।

সূত্রের খবর, রোহিঙ্গা (Rohingya) শরণার্থী শিবিরের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় রোহিঙ্গা জঙ্গিগোষ্ঠী আরসা। কক্সবাজারে টেকনাফ এবং উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরগুলো পরিচালনায় সহায়তার জন্য প্রতিটি শিবিরে কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতা নির্বাচন করা হয়। যাদের মাঝি বলা হয়। মূলত, এদেরই নিশানা করে জঙ্গিরা। রোহিঙ্গা নেতাদের হিসাবে, গত এক বছরে কমপক্ষে ১২টি হত্যাকাণ্ড। পুলিশি অভিযান চালিয়েও তেমন কোনও সুরাহা মিলছে না। এ নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন প্রশাসন। প্রায় প্রতিদিনই খুনোখুনি, লুটপাটের ঘটনা ঘটে চলেছে।

[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে কালী মন্দির ভাঙচুর, দেবী সরস্বতীর মাথা ভাঙল মৌলবাদীরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement