সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জঙ্গি নেতাকে মুক্তি দিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আল কায়দা শাখা সংগঠনের নেতা জসীমউদ্দিন রহমানিকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আনসারউল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান এই রহমানি। তাঁর বিরুদ্ধে ব্লগার রাজীব হায়দারকে খুনের অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকারের এই সিদ্ধান্তে বিপদ দেখছে ভারত। কারণ স্লিপার সেলের মাধ্যমে দেশে নাশকতা ছড়ানোর ছক ছিল এই জঙ্গি নেতার।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এই জঙ্গি নেতাকে। ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নিজের বাড়ির সামনে খুন হন বাংলাদেশি ব্লগার রাজীব হায়দার। সেই হত্যার মূল অভিযুক্ত হিসাবে আগস্ট মাসে গ্রেপ্তার হয় রহমানি। দোষী প্রমাণিত হওয়ার পরে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে। এছাড়াও বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে রহমানির বিরুদ্ধে।
[আরও পড়ুন: ‘মানুষখেকো’ নেকড়ের হানায় ঘুম ছুটেছে উত্তরপ্রদেশের! মৃত্যু ৬ শিশু-সহ ৭ জনের]
উল্লেখ্য, আল কায়দার শাখা সংগঠন আনসারউল্লাহ বাংলা টিমকে (এবিটি) ২০১৫ সালে নিষিদ্ধ করে শেখ হাসিনার সরকার। তার পরে নাম বদলে ফের আত্মপ্রকাশ করে এই জঙ্গি সংগঠন। বছর দুয়েক পরে আবারও সেই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ সরকার। তবে জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পরে রহমানির এই জঙ্গি সংগঠনের কার্যকলাপ ফের চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা বাড়ছে।
সেই কারণেই চিন্তার ভাঁজ পড়বে ভারতের কপালে। কারণ একাধিকবার লস্কর-ই-তইবার সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোতে নাশকতার ছক কষেছে এবিটি। অসম এবং ত্রিপুরা থেকে এবিটির বেশ কিছু জঙ্গিকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। চলতি বছরেই গুয়াহাটি রেল স্টেশন থেকে বাহার মিঞা এবং রারেলি মিঞা নামে দুই এবিটি জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছিল অসম পুলিশ। রহমানির মুক্তিতে এবিটির জঙ্গি কার্যকলাপ আরও বাড়বে এবং তার প্রভাব পড়তে পারে ভারতেও, এমনটাই আশঙ্কা ওয়াকিবহাল মহলের। প্রশ্ন উঠছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি আদৌ শান্তিরক্ষায় সচেষ্ট?