সুকুমার সরকার, ঢাকা: প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য সুখবর। বাংলাদেশের (Bangladesh) সুন্দরবনে বাড়ছে বাঘের সংখ্যা। তাই এবার সুন্দরবনের আয়তন বাড়ানোর জন্য কৃত্রিম ম্যানগ্রোভ অরণ্য সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছে হাসিনা প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: করোনার বিরুদ্ধে জোরদার লড়াই বাংলাদেশের, অনুমোদন পেল দেশীয় টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্স’]
বুধবার ঢাকায় জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত আসনের বেগম সুলতানা নাদিরার প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, “জীববৈচিত্র্যের আধার সুন্দরবনে এখন ৩৩৪ প্রজাতির উদ্ভিদ, ১৬৫ প্রজাতির শৈবাল, ১৩ প্রজাতির অর্কিড এবং ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী পাওয়া যায়। বন্যপ্রাণীর মধ্যে ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ, ৮ প্রজাতির উভচর, ৩১৫ প্রজাতির পাখি, ২১০ প্রজাতির মাছ, ২৪ প্রজাতির চিংড়ি, ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া আছে। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা বলেন, “সুন্দরবন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ক্যামেরা ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ২০১৫ সালের বাঘশুমারি অনুযায়ী সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ১০৬টি। ২০১৮ সালের শুমারিতে এর সংখ্যা ১১৪টি পাওয়া গেছে। সুন্দরবনের কার্বন মজুতের পরিমাণ ২০০৯ সালের ১০৬ মিলিয়ন টন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৯ সালে ১৩৯ মিলিয়ন টন হয়েছে।”
বাংলাদেশে সুন্দরবন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সরকার যে যথেষ্ট সচেষ্ট, সেকথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সুন্দরবনের প্রায় ৫৩ শতাংশ এলাকা অভয়ারণ্যের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।’ বাংলাদেশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, সুন্দরবনের আয়তন বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ সরকার কৃত্রিম ম্যানগ্রোভ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় এর বিস্তৃতি ঘটানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সুন্দরবনের গাছপালা ও বন্প্রাণ রক্ষার জন্য স্মার্ট পেট্রোলিং টিম তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। বলে রাখা ভাল, কয়েকদিন আগেই কুখ্যাত চোরাশিকারি হাবিব তালুকদার ওরফে ‘টাইগার হাবিব’কে গ্রেপ্তার করা হয়। একইসঙ্গে, পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান তীব্র করে তোলা হয়েছে। সব মিলিয়ে সুন্দরবনের অস্তিত্ব রক্ষায় একাধিক পদক্ষেপ করছে হাসিনা সরকার।