সুকুমার সরকার, ঢাকা: দেশীয় বাণিজ্যে বিনিয়োগ করুক জাপান (Japan)। এশিয়ার এই দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে এবার জাপানের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে (Bangladesh) আসার আহ্বান জানালেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার টোকিওতে হোটেল ওয়েস্টিনে জাপানি ব্যবসায়ী মহলের সঙ্গে মত বিনিময়ের পর একথা বলেন তিনি। হাসিনার কথায়, ‘‘আমরা ব্যবসার পরিবেশের উন্নতি অব্যাহত রাখব এবং বাংলাদেশে ব্যবসা করতে আপনাদের সবার জন্য একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করব। কোভিড (COVID-19) মহামারীর মধ্যেও বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে প্রথমবারের মতো চার বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে।’’
তথ্য বলছে, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে কাজ করা জাপানি কোম্পানির সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। জাপানি ব্যবসায়ীরাও এই ক্রমবর্ধমান প্রবণতা অনুসরণ করছেন বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Bangladesh PM Sheikh Hasina)। তিনি আরও নিশ্চিত যে এই ব্যবসা সম্প্রসারণ বা আরও নতুন ব্যবসা খোলার দিকে আগ্রহী জাপানি ব্যবসায়ীরাও। সেই মর্মে তিনি বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সে দেশের ব্যবসায়ীদের। এদিন তাঁদের সঙ্গে আলোচনার সময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘আমি আপনাদেরকে আশ্বস্ত করতে চাই, আমার সরকার এবং সমস্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থা আপনাদের এবং জাপানে আমাদের অন্যান্য বন্ধুদের বাংলাদেশে ব্যবসায়িক প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে আগ্রহী।’’
[আরও পড়ুন: ‘হুজুর, ওটা ফলস কেস! এবার CBI মামলায় আমায় জামিন দিয়ে দিন’, কাতর আরজি অনুব্রতর]
দক্ষিণ এশিয়ার (South Asia) মধ্যে বাংলাদেশই সবচেয়ে উদার বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্র বলে উল্লেখ করে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান হাসিনা বলেন, ‘‘প্রতিযোগিতামূলক ব্যয়, প্রচুর মানবসম্পদ, উচ্চ ক্রয়ক্ষমতাসম্পন্ন দেশীয় ভোক্তা বাজার এবং ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণির দিক থেকে বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত লাভজনক স্থান হিসেবে দ্রুত আবির্ভূত হচ্ছে।’’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিগত পাঁচ দশকে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের দৃষ্টান্তমূলক ফলাফল দেখে আমাদের প্রত্যাশা আগামী বছরগুলিতে বাংলাদেশে জাপানের আরও বড় পদচিহ্ন থাকবে। আমরা ইতিমধ্যে বাংলাদেশে জাপানি সংস্থাগুলির উত্থাপিত বেশ কয়েকটি নিয়ন্ত্রক এবং নীতিগত সমস্যার সমাধান করেছি।’’
[আরও পড়ুন: অল্পের জন্য রক্ষা, মা উড়ালপুলের উপর ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন সপ্তর্ষি ও সোহিনী]
প্রধানমন্ত্রী হাসিনা আরও বলেন, ‘‘আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক কেন্দ্র হতে সচেষ্ট রয়েছে। আমরা সারা দেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল, হাই-টেক কিংবা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক প্রতিষ্ঠা করছি। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে যোগাযোগের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য একটি পরিকল্পিত পরিকাঠামো নির্মাণ করছে। টোকিওতে আমাদের দূতাবাস বাংলাদেশে আপনাদের উদ্যোগকে সহযোগিতা ও সহজতর করতে প্রস্তুত।’’