সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইসকন নিষিদ্ধ করার দাবিতে মামলা হয়েছিল বাংলাদেশের আদালতে। বৃহস্পতিবার সেই মামলা খারিজ হয়ে গেল। মৌলবাদীদের ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেল বিচার ব্যবস্থার কড়া সিদ্ধান্তে। ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে পদ্মাপাড়ের সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান বুধবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশিস রায় চৌধুরীর বেঞ্চে রিট পিটিশন দাখিল করেছিলেন। সেই দাবি ধোপে টিকল না আপাতত।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) কার্যক্রম নিষিদ্ধের জন্য সরকারকে কোনও আদেশ দিতে অস্বীকার করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের বক্তব্য, চট্টগ্রামে ইসকনের সমাবেশে এবং অন্যান্য হিংসাত্মক ঘটনার পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অতএব, এখনই হস্তক্ষেপের প্রয়োজন বোধ করছে না আদালত। তবে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশিস রায় চৌধুরীর বেঞ্চ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারকে সতর্ক থাকতে বলেছে।
ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারিকে কেন্দ্র করে জ্বলছে বাংলাদেশ। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়েছে। খারিজ হয়েছে জামিন। এর পরই উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় চট্টগ্রামে আদালতে চত্বরে। জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। মৃত্যু হয় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের। এর পরই ইসকনের 'সন্দেহজনক' কর্মকাণ্ড নিয়ে তিনটি মামলা হয়। ওই মামলাগুলিতে মোট ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ইসকন নিষিদ্ধ করার দাবিতে মামলা হয় বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টে। শুনানির সময় অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ আসাদুজ্জামান আদালতের কাছে বাংলাদেশে ইসকনের প্রতিষ্ঠার নানা বিষয় তুলে ধরেন। তিনি দাবি করেন, “এটি একটি ধর্মীয় মৌলবাদী সংগঠন। সরকার ইসকন নিয়ে যাচাই শুরু করেছে। এই সংগঠন রেজিস্টার্ড কি না, এটি নিষিদ্ধ হবে কি না, এর বিরুদ্ধে কী কী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সরকার সবকিছু দেখবে এবং আদালতে উপস্থাপন করবে।” যদিও আদালত এখনই ইসকন নিষিদ্ধ করতে রাজি হয়নি।