সুকুমার সরকার, ঢাকা: ভারতে ইলিশ (Hilsa) রপ্তানি স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে সাত দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়ে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকারের চার বিভাগের সচিব ও তিনটি সংস্থার চেয়ারম্যানের অনুমতিতে রবিবার রেজিস্ট্রি পোস্টার মারফত ওই নোটিস পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মহম্মদ মাহমুদুল হাসান।বাণিজ্য সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব, বিদেশ সচিব, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের প্রধান নিয়ন্ত্রক ও বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ওই নোটিস পাঠানো হয়।
নোটিসের প্রেরক আইনজীবী মাহমুদুল হাসান সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ। কিন্তু অতিরিক্ত দামের কারণে দরিদ্ররা তা কেনার কথা কল্পনাও করতে পারে না। এমনকি মধ্যবিত্ত শ্রেণিও কিনতে পারে না। জনগণের চাহিদা সত্ত্বেও বাণিজ্য সচিব ৪ সেপ্টেম্বর ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছিলেন। কিন্তু ভারতে ইলিশ রপ্তানির (Export)কারণে দেশের বাজারে ইলিশের দাম বাড়ছে। ধরা পড়া ইলিশ সাজিয়ে রাখছেন জেলেরা। অন্যদিকে দেশের বাজারে ইলিশের যে দাম, তার চেয়ে ভারতে রপ্তানিমূল্য কম। তাই স্থায়ীভাবে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধে ব্যবস্থা নিতে ওই নোটিস পাঠানো হয়েছে।’’
[আরও পড়ুন: সময়ের আগে স্টেশনে পৌঁছলে গুনতে হবে ঘণ্টায় ৩০ টাকা, আয় বাড়াতে নয়া পন্থা রেলের]
এ বিষয়ে সাতদিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ ৭ দিনের মধ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করতে হবে। তা নইলে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন জারি করবেন বলে জানিয়েছেন নোটিসদাতা ওই আইনজীবী। প্রসঙ্গত, ভারতে (India)ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার টন পদ্মার ইলিশ এসেছে। বিভিন্ন বাজারে তা পাওয়াও যাচ্ছে। তবে সেই ইলিশের দাম সকলের সাধ্যের মধ্যে নয় বলেও আক্ষেপ রয়েছে আমজনতার। এই অবস্থায় ইলিশ রপ্তানি আগামী ৭ দিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে গেলে, রুপোলি শস্যের বাজারে ফের খরা দেখা যাবে বলে আশঙ্কা করছেন মৎস্যজীবী ও মাছবিক্রেতারা। আর মুখভার ক্রেতাদেরও।