সুকুমার সরকার, ঢাকা: দুর্গাপুজোয় হিন্দুদের উপর হামলা ও মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি বাংলাদেশে (Bangladesh)। পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। এবার সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মহম্মদ ফরিদুল হক খান।
[আরও পড়ুন: মৌলবাদীদের কড়া জবাব, মন্দিরের উদ্বোধন করলেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি]
বুধবার ঝালকাঠিতে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। সেখানে হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে না হতে পারে, তারই একটি প্রক্রিয়ার অংশ হচ্ছে সাম্প্রদায়িক হামলা। স্বাধীনতা বিরোধী একটি গোষ্ঠী মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করছে। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁদের চিহ্নিত করেছে। দোষীদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। এই মামলা আইনের গতিতে চলবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। ধর্ম পালন করতে গিয়ে কোনও ধরনের হানাহানি মারামারি করা যাবে না।”
উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোয় কুমিল্লা জেলায় পুজোমণ্ডপে কোরান রাখার জেরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় মন্দির ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দেশটির সংখ্যাগুরু মুসলিম মৌলবাদীরা। রংপুরের পীরগঞ্জ, নোয়াখালি, ফেনি, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, গাজীপুর, গোপালগঞ্জ-সহ বেশ কয়েকটি জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হয়। এসব ঘটনার মধ্যে শুধু কুমিল্লায় ১০২টি মামলা ও আসামি করা হয়েছে ২০ হাজার ৬১৯ জনকে। আর এ পর্যন্ত ৫৮৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই ঘটনায় পাকিস্তানের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছে দেশের শাসকদল আওয়ামি লিগ।
উল্লেখ্য, সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পুত্র ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। দুর্নীতি-সহ দেড় ডজন মামলা ঝুলছে স্বেচ্ছায় লন্ডন প্রবাসী তারেকের বিরুদ্ধে। এই কাণ্ডে বিএনপির সঙ্গী ছিল মৌলবাদী দল জামাতও। এমনটাই অভিযোগ করেন আওয়ামি লিগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।