সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা নিয়ে ঘরে বাইরে সমালোচনার মুখে মোদি সরকার। গোদের উপ বিষফোড়া দজেশের বেহাল অর্থনীতি। আর কেন্দ্রের সেই কাটা ঘায়ে নুনের ছিঁটে দিচ্ছে বাংলাদেশের জাতীয় পরিকল্পনা বিষয়ক মন্ত্রীর দাবি। যিনি দাবি করেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় (Per Capita Income) ভারতের চেয়ে বেশি। যা দেখে অনেকেই বলছেন, গত বছরের IMF এর পূর্বাভাস একেবারে হাতেনাতে মিলে গেল।
বাংলাদেশের পরিকল্পনা মন্ত্রকের মন্ত্রী (Planning Minister) এম এ মান্নান বলেন, দেশের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়ে ২ হাজার ২২৭ মার্কিন ডলার হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মূল্য বছরে ১ লক্ষ ৮৮ হাজার ৮৭৩ টাকা। উল্লেখ্য, গত বছর বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৬৪ মার্কিন ডলার। সেই হিসেবে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১৬৩ ডলার। শতাংশের হিসেবে যা গতবারের চেয়ে ৯ শতাংশ বেশি। বর্তমানে ভারতের মাথা পিছু আয় ১,৯৪৭ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ বাংলাদেশের তুলনায় ২৮০ মার্কিন ডলার কম।
[আরও পড়ুন: ন্যায়বিচার পাবেন সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম, আশ্বাস বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর]
কী এই মাথা পিছু আয়? অর্থনীতির ভাষায়, নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকায় বাসবাসকারী সকলের গড় আয়ই হল মাথা পিছু আয়। দেশের জাতীয় আয়কে মোট জনসংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে সে দেশের মাথা পিছু আয়ের হদিশ মেলে। স্বাভাবিকভাবে এই তথ্য সামনে আসতেই মোদি সরকারের দিকে আঙুল উঠতে শুরু করেছে। তবে এ নিয়ে কেন্দ্রের তরফে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, করোনা ও লকডাউনের জোড়া ফলায় বিদ্ধ ভারতীয় অর্থনীতী। গত বচৎ সংকুচিত হয়েছিল আর্থিক বৃদ্ধির হার। এমন পরিস্থিতিতে IMF-এর রিপোর্টে বলেছিল, ২০২০ সালে চলতি বাজারমূল্যে মাথাপিছু জিডিপিতে ভারতকে পেছনে ফেলবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ১ হাজার ৮৮৮ ডলারে পৌঁছাবে। অন্যদিকে ভারতে এটি কমে হবে ১ হাজার ৮৭৭ ডলার। যদিও সেই দাবি হেলায় উড়িয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু এবার ফের বাংলাদেশের মন্ত্রীর দাবি নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।