সুকুমার সরকার, ঢাকা: চিন বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। রবিবার রাতে ঢাকার (Dhaka) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ”দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মূল কেন্দ্রবিন্দু হওয়া উচিত দু’দেশের আরও উন্নয়ন।” ওইদিন চিনের (China) বিদেশ বিষয়ক উপ-মন্ত্রী সান ওয়েইডংয়ের সঙ্গে দেখা করে হাসিনা আরও বলেন, ‘‘দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও ক্ষেত্রে আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত আমরা দেশকে কীভাবে আরও উন্নত করতে পারি।’’
পাশাপাশি চিনের উপ-মন্ত্রী বলেন, চিন বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে বিভিন্ন খাতে বিশেষ করে পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি ও উচ্চপ্রযুক্তিতে সহযোগিতা জোরদার করতে আগ্রহী। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, ”বাংলাদেশ চিনের উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি বরাদ্দ করেছে এবং তারা সেখানে শিল্প স্থাপন করতে পারে।”
[আরও পড়ুন: সশরীরে আদালতে অর্পিতা, ‘টাকা কার?’, জবাবে কী বললেন পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’?]
চিনের তরফে সান ওয়েইডং শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) চিনা প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান। বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে তিনি বলেন, প্রায় ১০ বছর আগে তিনি বাংলাদেশ সফর করেছেন। তবে, এবার বাংলাদেশকে অনেক বেশি উন্নত দেখেছেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। তিনি পদ্মা সেতু ও বাংলাদেশে চিনের সহায়তায় নির্মিত আরও পাঁচটি প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন।
[আরও পড়ুন: ২০০০-এর নোট বদলে বাধ্যতামূলক হোক পরিচয়পত্র, জনস্বার্থ মামলা খারিজ দিল্লি হাই কোর্টে]
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে (Xi Jinping) তাঁর ব্যক্তিগত শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, ”প্রায় ছ’হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী চিনে পড়াশোনা করছে এবং তাঁদের মধ্যে অনেকেই কোভিড মহামারী চলাকালীন দেশে ফিরে এসেছে।” হাসিনা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে মহামারীর পরে সে দেশে ফিরে যেতে সহায়তা করার জন্য চিন সরকারকে ধন্যবাদও জানান।