সুকুমার সরকার, ঢাকা: ঢাকায় (Dhaka) অগ্নিকাণ্ড একেবারেই রোজকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি বড় মার্কেটে পরপর আগুন লাগার ঘটনায় চাপা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা রয়েছে। এ ধরনের অগ্নিকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত নাশকতা’ বলে মনে করে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Bangladesh PM Sheikh Hasina)। তারই মাঝে গতকাল সোমবারও ৬টি মার্কেট ও একটি স্যালাইন কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ঘটে। মৃত্যুর কোন খবর না পাওয়া গেলেও জখম ও পণ্য, অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রাজধানীর উত্তরা বিজিবি মার্কেট, বায়তুল মোকাররম স্বর্ণের মার্কেট, নিউ মার্কেট এলাকার একটি ট্রান্সফরমার, নারায়ণগঞ্জের ওরিয়ন কারখানা, রংপুর জেলার মতি প্লাজা ও বগুড়ার শিবগঞ্জের একটি বস্তার গুদামে আগুন (Fire) লাগে। মাঝরাতে ঢাকার ওয়ারির পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ছ’তলা ভবনের দোতলায় আগুন লাগে।
[আরও পড়ুন: ‘মায়াবী শিল্পী মুকুল, আমি মূল্যায়ন করার কেউ নই’, মুকুল রায়ের ‘অন্তর্ধান’ নিয়ে বললেন কুণাল]
দমকলের আটটি ইঞ্জিন দিয়ে রাত পৌনে তিনটে নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগামী ডিসেম্বরের শেষে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন (General Election)। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, একটি মহল অতীতের মতো জলঘোলা করে ভিন্নপথে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া। নাশকতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর একাধিক মন্ত্রী আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন।
[আরও পড়ুন: গৃহযুদ্ধের সুদানে মৃত পেরল ২০০, সেনাপ্রধানকে ফোনে সংঘর্ষবিরতির বার্তা মার্কিন বিদেশসচিবের]
এর আগে ৪ এপ্রিল রাজধানীর সর্ববৃহৎ পাইকারি পোশাকের মার্কেট বঙ্গবাজারেও ভয়াবহ আগুন লেগেছিল। পাঁচ হাজার দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতি হয় কোটি কোটি টাকার সম্পদ। পথে বসেন হাজারও ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার গণভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ”কয়েকদিন ধরে হঠাৎ করে আগুনের ঘটনা বেড়ে গেল। আমার মনে সন্দেহ হচ্ছে, এটাও নাশকতা কি না। যারা জীবন্ত মানুষকে গাড়িতে আগুন দিয়ে, বাসে আগুন দিয়ে, রিকশায় আগুন দিয়ে পোড়াতে পারে, এরা মানুষের ক্ষতি করাটাই জানে। ইদের সময় মানুষ ব্যবসা-বাণিজ্য করবে, হয়ত সেই পথটাও বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল। আমার মনে হয়, এখানেও একটা উদ্দেশ্য আছে।”