সুকুমার সরকার, ঢাকা: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কোটা বিরোধী আন্দোলনের ঝাঁজও বাড়ছে প্রতিবেশী বাংলাদেশে। পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোরাল হচ্ছে। বাড়ছে উদ্বেগ। সর্বশেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত হিংসাত্মক আন্দোলনের মাঝে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৯ জন। যার মধ্যে রয়েছেন এক সাংবাদিক (Journalist)। তাঁর নাম হাসান মেহেদি। স্থানীয় এক সংবাদপত্রে কর্মরত। তাঁর শরীরে ছররা গুলির দাগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে। এদিকে, কোটা সংস্কার নিয়ে সরকারের আলোচনার প্রস্তাব খারিজ করেছে আন্দোলনকারী দল। তাঁদের সাফ বার্তা, ''লাশের উপর দিয়ে আলোচনায় যাওয়া যায় না।’’
কোটা বিরোধী আন্দোলনে তপ্ত গোটা বাংলাদেশ। ছবি: পিটিআই।
কোটা বিরোধী আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে (Bangladesh) দিনভর একাধিক অশান্তির ঘটনা ঘটে চলেছে। আক্রান্ত সংবাদমাধ্যমও। সূত্রের খবর, একটি টেলিভিশন চ্যানেলের (TV Channel)সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে জোর করে। এদিকে, মোবাইলে ইন্টারনেট বন্ধের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে একটি সংস্থার মূল কার্যালয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছে আন্দোলনকারীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, সংস্থার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করে মোবাইল ইন্টারনেট (Internet) চালুর বিষয়টি বলতে চান। কথা না বললে রাতভর একই অবস্থানে তাঁরা থাকবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: জমি কেড়েছে মাফিয়া! কাঁদতে কাঁদতে সরকারি অফিসের মেঝেতে গড়াগড়ি খেলেন কৃষক]
এদিকে, আন্দোলনের চাপে পড়ে বাংলাদেশ সরকার কোটা সংস্কারে নীতিগতভাবে সম্মত জানিয়ে আলোচনার (Discussion) রাস্তা খুলেছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার প্রস্তাব দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। দুপুরে সাংবাদিকদের আনিসুল হক বলেন, ‘‘চলমান কোটা আন্দোলন নিয়ে সরকার আজই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসতে রাজি আছে। প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের এ প্রস্তাবকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তাঁদের এ প্রস্তাবের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব দিয়েছেন আইনমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে। তাঁরা যদি আজ রাজি হয় তাহলে আমরা আজই বসতে রাজি আছি।’’
[আরও পড়ুন: কলকাতা লিগে প্রথম জয়, পিয়ারলেসকে হারিয়ে তিন পয়েন্ট মোহনবাগানের]
কিন্তু আন্দোলনকারীরা সরকারের সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান (Refuse)করে বলেছেন, ‘‘আলোচনা তো আগেও হতে পারত। আলোচনা আর গোলাগুলি একসঙ্গে হয় না। লাশের উপর দিয়ে তো আলোচনায় যাওয়া যায় না।’’ ছাত্র আন্দোলনের (Protest) কয়েকজন সমন্বয়ক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, ‘‘আমরা কিছু দাবি জানাব। সেই দাবিগুলো পূরণ সাপেক্ষে আলোচনা হতে পারে। সেই দাবিগুলোর বিষয়ে আমাদের আলোচনা চলছে। দাবিগুলো পূর্ণাঙ্গভাবে লিখে আমরা লিখিত আকারে জানাব, যাতে ভুলভাবে আমাদের দাবি উত্থাপিত না হয়।’’ সবমিলিয়ে পরিস্থিতি আরও জটিলতার দিকে যাচ্ছে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।