সুকুমার সরকার, ঢাকা: সাম্প্রদায়িক হিংসায় অভিযুক্ত খালেদা জিয়ার পুত্র তারেককে দেশে ফেরাতে তৎপর হাসিনা সরকার। এই মর্মে লন্ডনের সঙ্গে গোপনে আলোচনাও চলছে ঢাকার বলে সূত্রের খবর। সম্প্রতি, ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য সেই জল্পনা আরও উসকে দিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ভোজনরসিকদের জন্য সুখবর, আবারও ভারতে আসছে বাংলাদেশের ইলিশ]
বাংলাদেশে (Bangladesh) দুর্গাপুজোয় সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় এবার নাম জড়িয়েছে বেগম খালেদা জিয়ার পুত্র ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। দুর্নীতি-সহ দেড় ডজন মামলা ঝুলছে স্বেচ্ছায় লন্ডন প্রবাসী তারেকের বিরুদ্ধে। এই কাণ্ডে বিএনপির সঙ্গী ছিল মৌলবাদী দল জামাতও। এমনটাই অভিযোগ করেছেন আওয়ামি লিগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শুধু তাই নয়, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা-সহ কয়েকটি মামলায় বাংলাদেশের আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি। ২০১৮ সাল থেকেই তাঁকে ফেরত আনার বিষয়ে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে যোগাযোগে জোর দিচ্ছে। এখন ব্রিটেনের কাছে প্রত্যর্পণের বিষয়টি আবার তুলে ধরেছে ঢাকা। বিশেষ করে গত মাসে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে তারেক রহমানের ভারচুয়াল রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর বাংলাদেশের অনুরোধের বিষয়টিকে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, ব্রিটেন কোন কোন ব্যক্তিকে বাংলাদেশ সরকার ফেরত চেয়েছে, তা প্রকাশ করেননি ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন। তিনি বলেছেন, “অভিযুক্ত কোনও ব্যক্তিকে তাঁর দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি ব্রিটিশ সরকারের উপর নয়, আদালতের উপর নির্ভর করে।” বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রত্যর্পণের বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর তাই জনসমক্ষে তা আলোচনা করা ঠিক হবে না। বিশ্লেষকদের মতে, তারেক জিয়ার প্রত্যর্পণ চাইছে ঢাকা। তবে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক টানাপোড়েন এড়াতে এখনই তা নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ ব্রিটেন।
উল্লেখ্য, ব্রিটেনে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ছড়ানোয় অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে দেশটির সঙ্গে পারস্পরিক আইনি সহায়তা চুক্তি করতে চায় হাসিনা সরকার। চলতি মাসের শুরুতে বিদেশসচিব মাসুদ বিন মোমেন ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পারমানেন্ট সেক্রেটারি ম্যাথিউ রাইক্রফটের সঙ্গে ভারচুয়ালি বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা-সহ নিরাপত্তা সহযোগিতা, উগ্রপন্থীদের মোকাবিলায় সহায়তার মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।