সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার বিরুদ্ধে সর্বশক্তিতে লড়াই চালাচ্ছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। এবার জুন মাসের মধ্যেই করোনা ভ্যাকসিনের আরও ৬ কোটি ডোজ পেতে চলেছে দেশ।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশেই তৈরি হবে যুদ্ধবিমান, আশাপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার]
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভারচুয়াল বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক কোভিড-১৯ এর টিকা পাওয়ার অগ্রগতির তথ্য তুলে ধরেন। এই বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি আশা করছেন, জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে প্রথম দফার তিন কোটি ভ্যাকসিন হাতে চলে আসবে। এজন্য গ্রাসরুট লেভেল পর্যন্ত সবাইকে ট্রেনিং দেওয়া শুরু হয়েছে। ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য যেসব জিনিস ব্যবহার করা হবে, সেগুলো কোথায় এবং কীভাবে নষ্ট করা হবে সেই ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি খাতকে অন্তর্ভুক্ত করে টিকা দেওয়া যায় কি না, এ নিয়েও আলোচনা চলছে। জুন মাসের মধ্যে আরও ছয় কোটি ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সের মাধ্যমে আসবে।” প্রসঙ্গত, গরিব দেশগুলোও যাতে টিকা পায়, সেই লক্ষ্যেই গত এপ্রিলে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনস গ্লোবাল অ্যাকসেস ফ্যাসিলিটি বা কোভ্যাক্স নামের একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।
উল্লেখ্য, আগেই করোনা প্রতিষেধক (Corona vaccine) নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের চুক্তি হয়েছিল। বিশ্বের বৃহত্তম টিকা উৎপাদনকারী সংস্থা এই মুহূর্তে পুনের এই সেরাম ইনস্টিটিউট। মহামারী যুদ্ধে প্রতিষেধক দিয়ে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে ভারত পাশে দাঁড়িয়েছে। সেরামের থেকে ৩ কোটি ডোজ কিনছে হাসিনা প্রশাসনের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এখন তা হাতে পাওয়ার অপেক্ষা। জানুয়ারির প্রথম দিকেই ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা ভাইরাসের টিকা প্রথম দফায় বাংলাদেশে পৌঁছে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।