সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশে স্বাধীনতা পূর্ব সময়ে নৃশংস গণহত্যার পাশাপাশি ব্যাপক লুটপাট চালায় পাক সেনা। এছাড়াও পশ্চিম পাকিস্তান আমলে প্রাপ্য প্রাদেশিক অনুদান, ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রাপ্ত বৈদেশিক অর্থ সাহায্য থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছিল। এবার পাকিস্তানের কাছে সেই ক্ষতিপূরণ হিসাবে সর্বমোট ৪৩২ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৩ হাজার কোটি টাকা) চাইল মুহম্মদ ইউনুস সরকার। এইসঙ্গে পাক বাহিনীর কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়ারও দাবি করা হল। উত্তরে কী বলল পাকিস্তান?
শেখ হাসিনার গদিচ্যুত হওয়ার পরে বদলে গিয়েছে পদ্মাপাড়ের রাজনৈতিক চিত্র। একদিকে যখন ঢাকা ও দিল্লির দূরত্ব বেড়েছে, অন্যদিকে ইসলামাবাদের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের। বাণিজ্য থেকে সামরিক, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ক্রমশ ঘনিষ্ট হচ্ছে। সম্পর্কের আরও উন্নতি চেয়ে স্বাধীনতাপূর্ব সময়ের ক্ষতিপূরণ চাইল ঢাকা। এই বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিন জানান, বাংলাদেশের আগের একটি হিসাবে ৪০০ কোটি ডলার এবং আরেকটা হিসাবে ৪৩২ কোটি ডলার। এই হিসাব পাকিস্তানের বিদেশ সচিবকে জানানো হয়েছে। "খুব ভালো আলোচনা হয়েছে।"
এই আলোচনায় পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলকে ঢাকার তরফে বার্তা দেওয়া হয়েছে, তাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চাইলে ইসলামাবাদকে ‘অমীমাংসিত ঐতিহাসিক বিষয়গুলি'র সমাধান করতে হবে। আসিফ নজরুল বলেন, "বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক এখন যে জায়গায় দাঁড়িয়েছে, সেটাকে শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে গেলে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর মীমাংসা করা প্রয়োজন।" যদিও বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠকের পর পাকিস্তানের দিক থেকে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তাতে এই 'অমীমাংসিত বিষয়গুলি'র কোনও উল্লেখ নেই। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বাংলাদেশের ক্ষতিপূরণ এবং ক্ষমা চাওয়ার দাবি আদৌ মানবে না পাকিস্তান। সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ঘোষিত ভাবে মুখ পুড়বে ইসলামাবাদের।
