সুকুমার সরকার, ঢাকা: আরও মজবুত ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক।| ধাপে ধাপে দুই বন্ধু দেশের মধ্যে ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে বাণিজ্য। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশে বিদ্যুতের চাহিদা দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি বাড়ছে। সেই ঘাটতি মেটাতে এবার ওপার বাংলার পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত।
[আবারও মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, এফ-১৬ যুদ্ধবিমান গুঁড়িয়ে দিল ভারতীয় বায়ুসেনা]
জানা গিয়েছে, বিদ্যুতের বিপুল চাহিদা পূরণ করতে ও লোডশেডিং কমানো-সহ ২০২১ সালের মধ্যে দেশের সব মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে ভারত থেকে আরও বিদ্যুৎ আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা। এর আগে বহরমপুর থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়। ফের বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ১২০ কিলোমিটার ৪০০ কেভি ডাবল সার্কিট হাই ভোল্টেজের সঞ্চালন লাইন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। দিনাজপুরের ‘বড়পুকুরিয়া-বগুড়া-কালিয়াকৈর ৪০০ কেভি লাইন’ প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের মোট ব্যয় ৩ হাজার ৩২২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ভারতীয় ঋণ ১ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা। প্রকল্পটি চলতি বছর থেকে শুরু হবে। ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ করবে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি)।
লাইনটি নির্মিত হলে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া হয়ে সহজে ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করা যাবে। প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য বুধবার ঢাকার শের-ই-বাংলায় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়। পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য সচিব মিজ শামিমা নার্গিস জানান, প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়নের হলে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি সহজ হবে। আগামী ২০২২-২৩ সালের মধ্যে ভারতের ঝাড়খণ্ডে আদানি গ্রুপের প্রস্তাবিত ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। ভারত ছাড়াও নেপাল ও ভুটান থেকেও বিদ্যুৎ আমদানির জন্য দেশের উত্তরাঞ্চলে উচ্চ ভোল্টেজের সঞ্চালন অবকাঠামো সম্প্রসারণের কাজ চলছে।
[‘জইশ বড় বিপদ’, চিন-রাশিয়ার কাছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরব ভারত]
The post এবার ঝাড়খণ্ড থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করবে বাংলাদেশ appeared first on Sangbad Pratidin.