সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবারই ঢাকা ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এই মুহূর্তে রয়েছেন দিল্লির সেফ হাউসে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রের দাবি, আরও ৪৮ ঘণ্টা এদেশে থাকবেন তিনি। কিন্তু এর পর কোথায় যাবেন মুজিবকন্যা? শোনা যাচ্ছে, ব্রিটেন তাঁকে আশ্রয় দিতে রাজি নয়। আবার আমেরিকাও নাকি ভিসা বাতিল করেছে। মার্কিন মুলুকে রয়েছেন তাঁর পুত্র জয়। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, ভারতে কি আশ্রয় চাইতে পারেন হাসিনা? কেন তাঁকে আশ্রয় দিতে রাজি নয় নয়াদিল্লি?
হাসিনাকে (Sheikh Hasina) আশ্রয় না দেওয়া প্রসঙ্গে ব্রিটেন সরকারের এক আধিকারিকের তরফে জানানো হয়েছে, এই সব ক্ষেত্রে সেই ব্যক্তির উচিত প্রথম যে দেশে তিনি নিরাপত্তা পাচ্ছেন সেখানেই আশ্রয় নেওয়া। স্বাভাবিক ভাবেই মনে করা হচ্ছে তাঁর ইঙ্গিত ভারতের দিকেই। যদিও এখনও পর্যন্ত হাসিনা যে নয়াদিল্লির কাছে আশ্রয় চেয়েছেন এমন খবর নেই। কিন্তু যদিও তিনি তা চান, তাহলে মোদি সরকার তা দেবে না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[আরও পড়ুন: সেনাশাসন নয়, ‘দেশ গড়তে’ ইউনুসকেই চাইছে বাংলাদেশের আন্দোলনকারীরা]
এর পিছনে প্রধান কারণ, এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের (Bangladesh Violence) সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে 'ধীরে চলো' নীতিই নিয়েছে ভারত। কিন্তু হাসিনাকে আশ্রয় দিলে এই সংঘর্ষে কোনও একটি পক্ষ নিয়ে ফেলবে নয়াদিল্লি। কিন্তু বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গেও কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখতে হলে এই পদক্ষেপ নিতে না চাওয়াই বোধহয় স্বাভাবিক হবে। হাসিনাকে আশ্রয় না দিলে ভারতের তরফে এই বার্তা দেওয়া সম্ভব হবে যে, কোনও নির্দিষ্ট নেতা নয় বাংলাদেশের প্রশাসনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখতে চায় নয়াদিল্লি।
এদিকে দেশের পূর্ব দিকে বাংলাদেশের সঙ্গে ৪ হাজার ৯৬ কিমি ভাগ করে ভারত। হাসিনাকে আশ্রয় দিলে নয়াদিল্লিকে 'হস্তক্ষেপকারী' হিসেবে ধরে নিয়ে বড়সড় ষড়যন্ত্র করতে পারে বাংলাদেশের জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো। এমনিতেই বর্তমান পরিস্থিতিতে সীমান্তে নজরদারি কড়া করা হয়েছে। নতুন করে বিপদ বাড়াতে চাইবে না ভারত, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ফলে সব মিলিয়ে হাসিনাকে এদেশে আশ্রয় না দেওয়ার পথেই নয়াদিল্লি হাঁটবে বলেই মনে করা হচ্ছে।