সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমানের বিরুদ্ধে জারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। শুধু তাই নয়, আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে তারেক জিয়ার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধেও জারি হয়েছে পরোয়ানা। এর ফলে আরও বিপাকে পড়েছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল ‘বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি’ (বিএনপি)।
আয়বহির্ভূত সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশ্যাল জজ মহম্মদ আসাদুজ্জামানের এই পরোয়ানা জারি করেছেন। আগামী ৫ জানুয়ারি গ্রেপ্তার সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর আগে চলতি বছরের ২৬ জুন হাই কোর্ট তারেক ও জোবায়দাকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করে। একইসঙ্গে আর্থিক দুর্নীতি মামলার বৈধতা নিয়ে করা পৃথক রিট আবেদন খারিজ করে দেয়। রিট খারিজ করে দেওয়া রায়ে হাই কোর্ট একইসঙ্গে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দায়ের করা এই মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতকে যত দ্রুত সম্ভব বিচার কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ দেয়।
[আরও পড়ুন: একের পর এক হত্যায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন, রোহিঙ্গা শিবিরে শুরু জঙ্গিদমন অভিযান]
উল্লেখ্য, দুনীতি-সহ অত্যন্ত ১৮টি মামলায় অভিযুক্ত তারেক জিয়া। কয়েকটি মামলায় তাঁর জেলের সাজাও হয়েছে। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালে গ্রেপ্তার হয়ে এক বছর কারাভোগের পর চিকিৎসার জন্য লন্ডনে পাড়ি জমিয়ে তারেক আর দেশে ফিরে আসেননি। বেগম খালেদা জিয়াও (Khaleda Zia) দুনীতি মামলায় দেড় বছর কারাভোগ শেষে প্যারলে মুক্তি নিয়ে এখন বাড়িতেই আছেন। ফলে বিএনপি কার্যত দিশেহারা। বিগত সাধারণ নির্বাচনে ভরাডুবির পর দলটি কার্যত অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই করছে বলেই মণে করছেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে, কানাডায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান হত্যা মামলার আসামী নুর চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর আবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। ঢাকায় সচিবালয়ে কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকোলসের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ অনুরোধ জানান। আইনমন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি নুর চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কানাডা আইনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ফেরত দেওয়া সম্ভব নয় বলে হাইকমিশনার জানিয়েছেন। তাদের অনুরোধ করা হয়েছে, বিকল্প পন্থা বের করা যা কি না। একজন খুনিকে আশ্রয় দেওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন।