shono
Advertisement

Breaking News

বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগে ফের রাজি মালয়েশিয়া, দু’দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি

২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ বন্ধ করে দেয় মালয়েশিয়া।
Posted: 02:04 PM Dec 19, 2021Updated: 04:21 PM Dec 19, 2021

সুকুমার সরকার, ঢাকা: তিন বছর পর ফের বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে চুক্তিভিত্তিতে কর্মী নিয়োগে হাত বাড়াল মালয়েশিয়া (Malaysia)। রবিবার কুয়ালালামপুরে দুই দেশের মধ্যে এই সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রবাসী ও বিদেশি কর্মসংস্থান সংক্রান্ত মন্ত্রক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে। প্রবাসী ও বিদেশি কর্মসংস্থান সংক্রান্ত মন্ত্রী ইমরান আহমেদ এবং মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী দাতুক সেরি চুক্তিপত্রে সই করেছেন বলে খবর। এই চুক্তি অনুযায়ী, কত টাকার বিনিময়ে মালয়েশিয়ায় কাজ পাবেন বাংলাদেশের কর্মীরা, তা স্থির হয়। 

Advertisement

২০১৮ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগে স্থগিতাদেশ দেয় মালয়েশিয়া। তা পুনরায় চালু করতে দু’দেশই উদ্যোগী হয়েছিল। বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক আলোচনাও হয়। কিন্তু কিছুই তেমন সদর্থক হয়ে উঠছিল না। শেষমেশ বছর শেষে বাংলাদেশকে সুখবর জানাল মালয়েশিয়া। বিদেশি কর্মসংস্থান মন্ত্রক এবং কুয়ালালামপুরে (Kualalampur) অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের লাগাতার কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে চুক্তি স্বাক্ষর হল রবিবার। মালয়েশিয়া সরকারও বাংলাদেশ থেকে কর্মী (Employment) নিয়োগে সবুজ সংকেত দেয়। চুক্তিস্বাক্ষরের পর এবার তা বাস্তবায়নের পালা।

[আরও পড়ুন: বিতর্কের মাঝেই আরও পাঁচশো রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ভাসানচরে পাঠাল বাংলাদেশ]

এই চুক্তিতে কী কী সুবিধা মিলবে মালয়েশিয়ায় কাজ করতে যাওয়া বাংলাদেশিদের? যৌথ প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে এভাবে কর্মী নিয়োগ, কর্মসংস্থান এবং অভিবাসনের আদর্শ কাঠামো তৈরি হবে। বাংলাদেশের শ্রমিকদের মালয়েশিয়ায় কর্মসংস্থান দু’দেশের অন্যতম সহযোগিতার ক্ষেত্র এবং পারস্পরিক ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ বিস্তার করবে বলে বিশ্বাস উভয় দেশের। বাংলাদেশের কর্মীরা যেমন মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নে (Economical Development) এভাবে অবদান রাখবেন, তেমনই বাংলাদেশের উন্নয়নেও মালয়েশিয়া সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে, তা উভয় দেশই স্বীকার করেছে। দু’দেশ আইন, বিধি, জাতীয় নীতি এবং নির্দেশ অনুযায়ী এই চুক্তিতে কর্মীদের অধিকার ও মর্যাদা আরও বেশি সুরক্ষিত হচ্ছে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। 

[আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি কোবিন্দের সফরেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন প্রসঙ্গ উত্থাপন ভারতের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement