সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীপু দাসকে নৃশংস হত্যা-সহ বাংলাদেশ ধারাবাহিক সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ভারতের বিবৃতিতে কাজ হল। কূটনৈতিক চাপে পড়ে নিহত হিন্দু যুবকের পরিবারের ‘দায়িত্ব’ নিল মহম্মদ ইউনুসের সরকার। মঙ্গলবার ময়নমনসিংহে দীপু দাসের বাড়িতে যান বাংলাদেশের শিক্ষা উপদেষ্টা সিআর আবরার। নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে 'পাশবিক অপরাধে'র বিচার করা হবে বলে আশ্বাস দেন। আবরার মন্তব্য করেন, ‘এই হত্যার কোনও অজুহাত হতে পারে না’।
মঙ্গলবার ময়মনসিংহের বানিহালা ইউনিয়নের মোকামিয়াকান্দা গ্রামে নিহত দীপু চন্দ্র দাসের বাড়িতে যান শিক্ষা উপদেষ্টা। পরিবারের সঙ্গে আলাপচারিতার পর তিনি বলেন, "একটি রাষ্ট্র ও সমাজ হিসেবে আমরা সব ধর্ম, জাতিগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের মতপ্রকাশের অধিকারকে সম্মান করি, যতক্ষণ পর্যন্ত তা অন্যের প্রতি সম্মান বজায় রেখে করা হয়। মতের আপত্তির মুহূর্তেও কোনও ব্যক্তি আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার রাখেন না। বাংলাদেশ একটি আইন শাসিত রাষ্ট্র। অভিযোগ তদন্ত করা ও বিচার করার একমাত্র কর্তৃত্ব রাষ্ট্রের। বিশ্বাস বা মতের পার্থক্য কখনও সহিংসতার কারণ হতে পারে না।" দীপু হত্যাকে নৃশংস অপরাধ উল্লেখ করে বাংলাদেশের শিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, "আমাদের সমাজে এর কোনও স্থান নেই। বাংলাদেশ সরকার এ সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। অভিযোগ, গুজব বা বিশ্বাসের পার্থক্য এই ধরনের বর্বরতার অজুহাত হতে পারে না। আইনের শাসন বজায় রাখা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।"
এই সঙ্গে নিহতের পরিবারের 'দায়িত্ব' নেওয়ার বিষয়টিও জানান ইউনুসের দূত আবরার। তিনি বলেন, "দিপু চন্দ্র দাসের পরিবারের পাশে সরকার রয়েছে। এই গভীর শোকে আমরা তাদের আর্থিক ও কল্যাণমূলক সহযোগিতা করব এবং নিয়মিত যোগাযোগ রাখব। তারা যে একা নন সেটাই আমি তাদের নিশ্চিত করেছি।"
প্রসঙ্গত, ২৫ বছরের দীপুকে কয়েক পিটিয়ে এবং পুড়িয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দীপুর মৃত্যুতে ঘরে-বাইরে প্রশ্নের মুখে পড়ে ইউনুস সরকার। দীপু হত্যার পরে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে মুখ খুলেছে রাষ্ট্রপুঞ্জও। তারা জানিয়েছে, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক হিংসার ঘটনা নিয়ে তারা খুবই উদ্বিগ্ন।
