সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের একবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এটাই নাকি এখন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনুসের সরকারের। কারণ প্রথমে চিঠি পাঠিয়ে তার পর অভিনন্দন জানিয়ে ট্রাম্প সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন হাসিনা। আর দুক্ষেত্রেই নিজেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন হাসিনা! ইতিমধ্যেই জল্পনা চলেছে, ট্রাম্পের হাত ধরেই হয়ত মসনদে প্রত্যাবর্তন ঘটতে পারে মুজিবকন্যার। যা নিয়ে চিন্তিত ইউনুস। এবার বাংলাদেশে আওয়ামি লিগের সমস্ত সভা-সমাবেশ রুখতে কঠোর পদক্ষেপ করতে চলেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আগামী ১০ নভেম্বর রবিবার ঢাকার জিরো পয়েন্টে জমায়েতের ডাক দিয়েছে আওয়ামি লিগ। যা রুখতে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ইউনুসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ শনিবার বিবৃতি দিয়ে তিনি বলেন, "আওয়ামি লিগ বর্তমানে একটি ফ্যাসিবাদী দল। এই ফ্যাসিবাদী দলের বাংলাদেশে বিক্ষোভ করার কোনও সুযোগ নেই। অন্তর্বর্তী সরকার কোনও হিংসা বা দেশের আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার চেষ্টা করলে তা মেনে নেওয়া হবে না।" এই বক্তব্যের পরই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, এভাবে কি রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেওয়া যায়? যেখানে হাসিনার আমলে গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল এবার সেই পথেই তো হাঁটছে ইউনুস সরকার।
শুক্রবারই ট্রাম্পের সঙ্গে হাসিনার কথোপকথনের কথা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে। এই খবর জানাজানি হতেই মাঝরাতে তড়িঘড়ি মধ্যরাতেই ইউনুসের কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এর পরই দেশে আওয়ামি লিগের সভা-সমাবেশ নিয়ে এই কড়া পদক্ষেপের কথা জানান ইউনুসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ট্রাম্প-হাসিনার ফোনে কথা বলার বিষয়টি নিয়ে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে। আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্পের বাংলাদেশ নীতি নিয়েও আশঙ্কা ও উদ্বেগের আবহ ধীরে ধীরে দানা বাঁধছে। বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসন হয়ত হাসিনা সরকারকেই ‘বৈধ’ বলে স্বীকৃতি দিতে পারে। সেক্ষেত্রে কী করণীয়, তা নিয়ে রাতেই জরুরি বৈঠক হয় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে। বাংলাদেশের প্রতিটি অলি-গলি এবং আমজনতার মধ্যেও জল্পনা, ট্রাম্পের হাত ধরেই হয়ত মসনদে ফিরতে পারেন হাসিনা। অন্তত সেই স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে আওয়ামি লিগ। আর সেই স্বপ্ন ভাঙতেই তৎপর ইউনুস সরকার।