shono
Advertisement
Bangladesh

ডোভালের আমন্ত্রণ! সীমান্ত সংঘাতের আবহে ভারতে আসছেন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা

মহম্মদ ইউনুসের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলে মনে করা হয় তাঁকে।
Published By: Anustup Roy BarmanPosted: 06:36 PM Nov 14, 2025Updated: 07:34 PM Nov 14, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের প্রভাব পড়েছে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে। ইউনুস সরকারের আমলে সখ্য বেড়েছে পাকিস্তানের। সম্প্রতি, চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করে পাক নৌসেনার যুদ্ধজাহাজ 'পিএনএস সইফ'। সম্পর্কের তিক্ততার মাঝেই এবার ভারতে আসছেন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। তবে কি সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা করছেন ইউনুস? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান আগামী সপ্তাহে ভারতে আসছেন। একটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন তিনি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলে মনে করা হয় তাঁকে। ২০২৪ সালের আগস্টে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনের পতনের পর রহমান হবেন দ্বিতীয় বাংলাদেশি নেতা যিনি নয়াদিল্লি সফর করবেন। তত্ত্বাবধায়ক প্রশাসনের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা তিনি।

মনে করা হচ্ছে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের আমন্ত্রণে কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভ (সিএসসি) এর বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। যদিও, রহমানের সফর বা কনক্লেভ সম্পর্কে এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি।

একাত্তরের ক্ষত সম্পূর্ণ বিস্মৃতপ্রায়! ক্রমশই পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ হচ্ছেন বাংলাদেশের ইউনুস। ৫০ বছর পর নিজেদের বন্দর পাক সেনাবাহিনীকে ব্যবহারের অনুমোদন দিল ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার। চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করেছে পাক নৌসেনার যুদ্ধজাহাজ। শুক্রবার বিকেলে 'পিএনএস সইফ' চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করার পর রবিবার ঢাকা সফরে গিয়েছেন পাক নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফও। যদিও গোটা বিষয়টিকে সম্পূর্ণভাব 'সৌজন্য'র মোড়কে উপস্থাপিত করেছেন দু'দেশের সেনাকর্তারা। কিন্তু ৫০ বছর পর বাংলাদেশ যেভাবে পাক সেনাবাহিনীর ব্যবহারের জন্য নিজেদের এলাকা খুলে দিল, তাতে অন্যরকম গন্ধই পাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল। ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে ভারতবিরোধী গোপন ষড়যন্ত্র।

এই অবস্থায় নিরাপত্তা কনক্লেভের পাশাপাশি রহমান এবং দোভালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজনৈতিক মহল। ছাত্র বিক্ষোভে সরকার পতনের পরে হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে ভারত। তাঁর পর থেকে ক্রমাগত সম্পর্কের অবনতি হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। সেই প্রসঙ্গ তুলে সম্প্রতি বার বার ইউনুস সরকারকে বিঁধেছেন হাসিনা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ধারণা বাংলাদেশের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক মজবুত থাকা উপমহাদেশের রাজনীতির জন্য জরুরি। তাঁর সময়ের বিদেশনীতি থেকে সরে এসে ইউনুস সখ্য বাড়িয়েছেন পাকিস্তানের সঙ্গে। হাসিনার দাবি, পাকিস্তানের সঙ্গে সখ্য ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নষ্ট করবে। তিনি বলেন, "ভারতের প্রতি ইউনুসের শত্রুতা বোকামো।"

এপ্রিল মাসে ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ইউনূস এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে বৈঠকের পরেও দুই দেশের সম্পর্কের বরফ গলেনি। বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে ভারত। সেই আবহেই দুই দেশের মধ্যে আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ভারতে আসছেন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান।
  • সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা করছেন ইউনুস?
  • একটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে পারেন তিনি।
Advertisement