shono
Advertisement

Sheikh Hasina: ‘আওয়ামি লিগকে উৎখাত করার শক্তির জন্ম হয়নি’, হুঁশিয়ারি হাসিনার

বুধবার ঢাকায় জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা বলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
Posted: 09:25 PM Jan 11, 2023Updated: 09:26 PM Jan 11, 2023

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামি লিগ সরকারকে উৎখাত করতে পারে এমন কোনও শক্তির এখনও জন্ম হয়নি বলে হুঁশিয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। বুধবার ঢাকায় জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি বলেন, “কারও পকেট থেকে আওয়ামি লিগের জন্ম হয়নি। আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া, জিয়া, এরশাদ-সহ অনেকেই চেষ্টা করছেন আওয়ামি লিগকে ধ্বংস করতে। কিন্তু পারেননি। এখনও কেউ পারবে না।” এদিকে, সূত্র মারফত জানা গিয়েছে আগামী এপ্রিলে জাপান সফরে যাচ্ছেন হাসিনা।

Advertisement

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্ন উত্থাপন করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য জানতে চান তিনি। প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগে মূল্যস্ফীতির প্রভাব হ্রাস পাওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং এ কারণে রাশিয়ার উপর বিভিন্ন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ফলে জ্বালানি তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের আন্তর্জাতিক বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠে। এর প্রেক্ষিতে সরকারকে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশেও জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করতে হয়েছে। মূল্যস্ফীতির চাপ সহনীয় পর্যায়ে রাখতে এবং গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাত্রাকে স্বাভাবিক ও সচল রাখতে আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়িত হবে।

[আরও পড়ুন: রপ্ত হয়ে গিয়েছে স্থানীয় ভাষা, বাংলাদেশে ক্রমশই স্থানীয়দের ভিড়ে মিশছে রোহিঙ্গারা]

আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ গত বছরের ৫ আগস্ট গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রলের মূল্য সমন্বয়/পুননির্ধারণ করা হয়। সংসদ নেতা বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব ধরনের জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পায় এবং ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হয়, যা এখনও অব্যাহত আছে। গত বছর ডিসেম্বর মাসেও আন্তর্জাতিক বাজারে ডিজেলের গড় মূল্য ১০৬ মার্কিন ডলার/ব্যারেল, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১ হাজার ২৭৫ টাকা। সারা দেশে বিভিন্ন ধরনের জ্বালানি তেলের চাহিদা বছরে প্রায় ৬৮ দশমিক ৮৭ লাখ মেট্রিক টন, যার ৭০ ভাগই (প্রায় ৪৮.৩২ লক্ষ মেট্রিক টন) ডিজেল বর্তমানে ডিজেল বিক্রয়ে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) দৈনিক প্রায় ৩ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। যা সরকারকে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাস পেলে তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশেও লোকসান পূরণ করে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী সংসদকে জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বিদ্যমান চাহিদার প্রবৃদ্ধি কমিয়ে সরবরাহ বৃদ্ধি করা। সে জন্য সরকারি ব্যয় হ্রাসের উদ্দেশে কতিপয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। যেমন- বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিভুক্ত প্রকল্পগুলো এ/বি/সি ক্যাটাগরি নির্ধারণ করা হয়েছে। তন্মধ্যে ‘বি’ ক্যাটাগরি প্রকল্পগুলোর ক্ষেত্রে জিওবি অংশের অনূর্ধ্ব ৭৫ শতাংশ ব্যয় করা এবং ‘সি’ ক্যাটাগরি প্রকল্পগুলোর অর্থ ছাড় আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‘এ’ ক্যাটাগরির প্রকল্প দ্রুত সমাপ্তির পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

[আরও পড়ুন: পুরুষের বেশে ক্লাবে ঢুকে হামলা প্রীতিলতার, চট্টগ্রামের ক্লাব আজও বহন করছে ইতিহাসের সাক্ষ্য]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement