shono
Advertisement

শরণার্থী শিবিরে করোনা সংক্রমণ রুখতে Rohingya-দের টিকাদান শুরু করল বাংলাদেশ

মায়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে কমপক্ষে ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী।
Posted: 12:13 PM Aug 11, 2021Updated: 12:57 PM Aug 11, 2021

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে আছড়ে পড়েছে করোনা (Corona) সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। বিশেষ করে ভয় বাড়াচ্ছে ডেল্টা স্ট্রেন। তাই সংক্রমণ রুখতে এবার রোহিঙ্গাদের (Rohingya) টিকাকরণ শুরু করল শেখ হাসিনা প্রশাসন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: Bangladesh corona vaccine: বাংলাদেশে বাঁদরের শরীরে শুরু ‘বঙ্গভ্যাক্স’ টিকার ট্রায়াল]

মায়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে কমপক্ষে ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী। কক্সবাজার ও সংলগ্ন এলাকার শরণার্থী শিবিরে তাদের আশ্রয় দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। কিন্তু ঘিঞ্জি শরণার্থী ক্যাম্পগুলিতে দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণ। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে টিকাদান শুরু করেছে বাংলাদেশ প্রশাসন। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত অন্তত আড়াই হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের। তবে বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিসংখ্যান হিমশৈলের চূড়ামাত্র। বাস্তবে শরণার্থী শিবিরগুলিতে ত্রাস হয়ে দেখা দিয়েছে কোভিড। বাংলাদেশের ডেপুটি রিফিউজি শামসউদ দোজা জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহেই ভাসানচরেও শরণার্থীদের টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হবে। বলে রাখা ভাল, কক্সবাজারের মূল শরণার্থী ক্যাম্প থেকে সমুদ্রের মাঝে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরিত করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। সবমিলিয়ে, বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত করোনার হামলায় মৃত্যু হয়েছে ২৩ হাজার মানুষের। আক্রান্ত অন্তত ১৪ লক্ষ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কক্সবাজারে ৩৪টি ও নোয়াখালির ভাসানচরে ১টি-সহ ৩৫টি শরণার্থী শিবিরে ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে। তবে নোয়াখালি জেলার ভাসানচরে কোনও রোহিঙ্গার শরীরে এখনও করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়নি। কক্সবাজারের ৩৪টি রোহিঙ্গা শিবিরে মধ্যে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-২ ডব্লিউ, কুতুপালং ক্যাম্প-৩, কুতুপালং ক্যাম্প-৪, জামতলি ক্যাম্প-১৫ ও টেকনাফের লেদা ক্যাম্প ২৪ শিবিরকে কঠোর লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। সব মিলিয়ে শরণার্থীদের মধ্যে সংক্রমণের ঘটনায় রীতিমতো চিন্তার ভাঁজ পড়েছে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের কপালে।তাই রোহিঙ্গাদের মধ্যে দ্রুত টিকাদান কর্মসূচি শেষ করতে চাইছে ঢাকা। 

[আরও পড়ুন: ‘হিন্দুদের মন্দির জ্বালিয়ে দেয় ইসলামের সৈনিকরা’, Bangladesh-এ সংখ্যালঘু নিপীড়নে ক্ষুব্ধ তসলিমা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement