সুকুমার সরকার, ঢাকা: সিআইডি পরিচয় দিয়ে বাড়ি থেকে সাংবাদিককে আটক করা হল। বাংলাদেশের (Bangladesh)সাভারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে বাড়ি সাংবাদিক শামসুজ্জামানের। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে বুধবার ভোরে তাঁকে আটক করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর। তবে সিআইডি’র ঢাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক জানিয়েছেন, তাঁর বিভাগ থেকে কেউ কোনও সাংবাদিককে (Journalist) আটক করতে যায়নি। ফলে বিষয়টি নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হচ্ছে। চিন্তিত গোটা সাংবাদিক মহল। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে মামলার ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, বুধবার ভোরে শামসুজ্জামানের বাড়িতে হানা দেয় ১৪-১৫ জনের একটি দল। মিনিট ১৫ ধরে সেখানে তল্লাশি চলে। সাংবাদিকের ২ টি মোবাইল, ল্যাপটপ, হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এরপর তাঁকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে বটতলায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আবার তাঁরা শামসুজ্জামানের বাড়িতে যান। সেখান থেকে তাঁকে জামাকাপড় নিতে বলা হয়। সেসময় সেখানে দেখা গিয়েছে আশুলিয়া থানার এসআই-কে। তবে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে সাংবাদিককে, সেই তথ্য মেলেনি এখনও।
[আরও পড়ুন: স্কটল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হলেন পাক বংশোদ্ভূত হামজা ইউসুফ, আজই নেবেন শপথ]
আরও জানা গিয়েছে, শামসুজ্জামানকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় বাড়ির মালিককে জানানো হয়, তাঁর লেখা একটি প্রতিবেদন ‘রাষ্ট্রবিরোধী’। তাই তাঁকে আটক করা হয়েছে। তবে শামসুজ্জামানকে আটক করা নিয়ে পুলিশ ও গোয়েন্দাদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম কামরুজ্জামান সকালে জানিয়েছিলেন, তিনি এ বিষয়ে এখনও কিছু জানেন না। আবার ১০ টা নাগাদ সিআইডির ঢাকা বিভাগের ডেপুটি ডিজির মহম্মদ ইমাম হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সিআইডির ঢাকা বিভাগ থেকে কেউ শামসুজ্জামানকে আটক করতে যায়নি। ফলে এ নিয়ে বড়সড় সংশয় দেখা দিয়েছে। চিন্তিত শামসুজ্জামানের কর্তৃপক্ষ থেকে পরিবার, বন্ধু – সকলেই।
[আরও পড়ুন: ‘দিনে ৫ বার নমাজেই শান্তি’, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে দাবি হিন্দি সিরিয়ালের জনপ্রিয় তারকার]
এনিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘‘আইন নিজস্ব গতিতে চলে। আইন অনুযায়ী রাষ্ট্র-সহ সবই চলে। কেউ যদি ক্ষুব্ধ হয়ে বিচার চায়, মামলা রুজু করে, সেই অনুযায়ী পুলিশ কিন্তু ব্যবস্থা নিতেই পারে।”