সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পরই পালানোর চেষ্টা করেছিলেন আওয়ামি লিগের নেতা-মন্ত্রীরা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। অনেককেই আটক কিংবা গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পার পাননি বাংলাদেশের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী হাসান মাহমুদও। দেশ ছাড়ার আগেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এবার তাঁর ব্যাঙ্কের লেনদেন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ। বাদ যাননি তাঁর স্ত্রী ও মেয়েরও। ব্যাঙ্কের সব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে তাঁদেরও।
গত ৫ আগস্ট ব্যাপক গণ আন্দোলনের জেরে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন হাসিনা। তাঁর চলে যাওয়ার পর থেকে খোঁজ মিলছে না আওয়ামি লিগের বহু নেতা-মন্ত্রীর। নিরাপত্তার কারণেই অনেকে লুকিয়ে রয়েছেন বলে খবর। আবার অনেক সাংসদ ও প্রাক্তন মন্ত্রীরা বিভিন্ন দেশে পালিয়ে যান। কিন্তু পালাতে পারেননি হাসান। ৬ আগস্টই ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে।
[আরও পড়ুন: ইস্তফা দিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, ইউজিসি-র চেয়ারম্যানও! ৬ ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ছাত্র রাজনীতি]
এবার আরও বিপাকে পড়লেন আওয়ামি লিগ নেতা তথা প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো সূত্রে খবর, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) নির্দেশ দিয়ে জানায়, হাসান মাহমুদ, তাঁর স্ত্রী নুরুন ফাতেমা এবং মেয়ে নাফিসা জুমাইনা মাহমুদের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়ী অ্যাকাউন্ট জব্দ করতে হবে। ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় এই নির্দেশ দেওয়া হয়। যা সমস্ত ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, হাসান মাহমুদ আওয়ামি লিগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে সরকার গঠিত হয়েছিল, তাতে তাঁকে বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর আগের তৎকালীন সরকারে তিনি তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। তৎকালীন হাসিনা সরকারে যাঁদের অত্যন্ত প্রভাবশালী হিসেবে গণ্য করা হত, তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন হাসান মাহমুদ। মুজিবকন্যার ক্ষমতা হারানোর পর থেকেই বাংলাদেশে হামলার শিকার হচ্ছেন আওয়ামি লিগের সদস্যরা।