shono
Advertisement

আনলক পর্বে খুলল বেনাপোল সীমান্ত, চেকপোস্ট দিয়ে যাতায়াত ভারত-বাংলাদেশের যাত্রীদের

মেডিক্যাল এবং বিজনেস ভিসা নিয়ে আপাতত যাতায়াত করা যাবে।
Posted: 02:43 PM Nov 09, 2020Updated: 02:44 PM Nov 09, 2020

সুকুমার সরকার, ঢাকা: প্রায় আট মাস পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে বাংলাদেশের (Bangladesh) বৃহত্তম স্থল চেকপোস্ট বেনাপোল সীমান্ত। করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ ঠেকাতে বেনাপোল আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রীদের যাতায়াত বন্ধ ছিল। ভারত ভিসা শিথিল করায় নতুন মেডিক্যাল ভিসা ও পুরনো বিজনেস ভিসায় বাংলাদেশিরা ভারতে আসা শুরু করেছেন। এছাড়া ভারত থেকেও এমপ্লয়মেন্ট ও বিজনেস ভিসায় যাত্রীরা যাচ্ছেন বাংলাদেশে।

Advertisement

বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ওসি আহসান হাবিব বলেন, ”ভারত সরকার গত ১৩ মার্চ বাংলাদেশিদের ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারির পর চলতি মাস থেকে নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করেছে। বর্তমানে কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে নতুন মেডিক্যাল ভিসা, স্টুডেন্টস ভিসা ও পুরনো বিজনেস ভিসায় বাংলাদেশিরা ভারত যেতে পারবেন। আর ভারত থেকে এমপ্লয়মেন্ট ও বিজনেস ভিসায় বাংলাদেশে আসতে পারবেন।” থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে এ পথে ভারত থেকে যাওয়া নাগরিকদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। মেডিক্যাল টিমের ইনচার্জ সুজন সেনের বক্তব্য, ”যাতায়াতের জন্য প্রত্যেকের কাছে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকতে হবে। এরপরও বাংলাদেশে আসা সব যাত্রীকে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।” এই চেকপোস্টের স্ক্যানারটি অত্যন্ত আধুনিক। এটা বাইরে থেকে যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা অটোমেটিক নির্ণয় করতে পারে। এছাড়া কারও তাপমাত্রা বেশি হলে, তাঁর উপরের স্ক্রিনে ‘হাই’ লেখা দেখায়।

[আরও পড়ুন: মায়ানমারে নির্বাচনের পরই রোহিঙ্গা জট খুলতে উদ্যোগী ঢাকা, বৈঠকের জন্য চিনকে অনুরোধ]

এখন যাঁরা ভারতে আসছেন, তাঁদের ৯০ শতাংশ মেডিক্যাল ভিসায়। টুরিস্ট ভিসা চালু হলে আবারও কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসবে দু’দেশের চেকপোস্ট এলাকায়। পাসপোর্ট যাত্রী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ”আমি ক্যানসারের রোগী। দু’বছর ধরে ভেলোরে চিকিৎসা নিচ্ছি। করোনার কারণে প্রায় এক বছর হল ডাক্তার দেখাতে পারিনি। নিষেধাজ্ঞা শিথিল হওয়ায় চিকিৎসা করাতে ভারত যাচ্ছি।” সুমি খাতুনের কথায়, ”মেডিক্যাল ভিসা নিয়ে চিকিৎসার জন্য চেন্নাই যাচ্ছি। মেডিক্যাল ভিসার মেয়াদ ৩ মাস থেকে ৬ মাসের জন্য দিলেও এই ভিসায় মাত্র একবার ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে। এতে কতটুকু প্রয়োজন মিটবে, তা নিয়ে সংশয়ে আছি।”

[আরও পড়ুন: হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ, বাংলাদেশে আছড়ে পড়ল করোনার দ্বিতীয় ঢেউ!]

অন্যান্য সময়ে এই পথে প্রতিদিন ১০ হাজার পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াত করলেও, গত তিনদিনে মাত্র ১৪২৯ জন এপার থেকে ওপারে গিয়েছেন এবং এসেছেন। তবে এখনও ভ্রমণ (Tourist) ভিসায় যাতায়াত চালু হয়নি। আর তা না হওয়া পর্যন্ত যাত্রীসংখ্যা বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই বলে মনে করেন ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবিব।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement