সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতকে ‘ব্যান্ডউইথ ট্রানজিট’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে ইন্টারনেট সংযোগ শক্তিশালী করতে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ‘ব্যান্ডউইথ ট্রানজিটে’র আবেদন করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু সেই প্রস্তাব মানতে রাজি হয়নি বিটিআরসি তথা ‘বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন’।
কাকে বলে ব্যান্ডউইথ? প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ তথ্য পাঠানো হয় তাকেই ব্যান্ডউইথ বলে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সংঘাতের যে আবহ তৈরি হয়েছে, সেই পরিস্থিতিতে এবার ঢাকার তরফে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হল। যদিও পরিস্থিতি একেবারেই অন্য ছিল কয়েক মাস আগেও। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন ভারত ও বাংলাদেশে যৌথভাবে ব্যান্ডউইথ পরিকাঠামো স্থাপনের পরিকল্পনা করে এদেশের টেলিকম সংস্থা ভারতী এয়ারটেল। সেইমতো সব প্রস্তুতিও সাড়া হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার আচমকাই সেই প্রস্তাবকে নাকচ করে দিল।
বিটিআরসির এক আধিকারিক সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় দাবি করেছেন, এই ব্যান্ডউইথ ট্রানজিটে ভারত লাভবান হবে। কিন্তু বাংলাদেশের তেমন কোনও লাভ হবে না। যেটুকু লাভ তা কেবল হাসিনা সরকারের সুবিধাভোগী বাংলাদেশের সামিট এবং ফাইবার অ্যাট হোমের হত। আর তাই সবদিক বিবেচনা করেই এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বাংলাদেশ।
তবে তিনি এমন দাবি করলেও এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে বর্তমান পরিস্থিতিই দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, হাসিনা গদি হারানোর পর থেকেই বাংলাদেশে মাথাচারা দিয়ে উঠেছে জামাত, হেফাজতে ইসলামের মতো মৌলবাদী দলগুলো। আর এই পরিস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কও খারাপ হচ্ছে। তার মধ্যেই সামনে এল ‘ব্যান্ডউইথ ট্রানজিটে’র আবেদন নাকচ করে দেওয়ার বিষয়টি।