সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ট্রাম্পের ইউনুস-প্রীতি, ভারতের চেয়ে বাংলাদেশকে কম 'শুল্কধাক্কা'। আর তাতেই খুশিতে ডগমগ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। শুক্রবার তিনি শুল্ক নিয়ে দর কষাকষি করা আধিকারিকদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ''মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের নতুন বাণিজ্যিক সম্পর্ক ঐতিহাসিক। এটা আমাদের কূটনৈতিক জয়।'' বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সোশাল মিডিয়া পাতা থেকে ইউনুস সেই বার্তা দিয়েছেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের উপর ট্রাম্প বসিয়েছেন ২০ শতাংশ শুল্ক আর ভারতের উপর ২৫ শতাংশ। আর তাতেই খুশি ইউনুস।
আজ অর্থাৎ পয়লা আগস্ট থেকেই দেশে দেশে ট্রাম্প জমানায় নয়া মার্কিন শুল্ক কার্যকর হয়েছে। মার্কিন পণ্যে ভারতের চেয়ে তুলনায় ৫ শতাংশ কম শুল্ক দিতে হবে বাংলাদেশকে। এনিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসের প্রতিক্রিয়া, ''আমেরিকা মনে করছে যে বাংলাদেশের বাজার এই মুহূর্তে দারুণ এগিয়ে চলেছে। বিনিয়োগ বাড়ছে, সম্পদ বাড়ছে। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল। আজকের এই শুল্ক-চুক্তিই প্রমাণ করে যে বাংলাদেশে অর্থনীতি আগামীতে বেশ শক্তপোক্ত হয়ে উঠবে।'' একইসঙ্গে ভারতের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানে নিয়ে তাঁর কটাক্ষ, ''উলটোদিকে, ভারত আমেরিকার সঙ্গে ঠিকঠাক চুক্তি করতে ব্যর্থ হয়েছে।''
এনিয়ে খলিলুর রহমান, বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং আমেরিকার সঙ্গে চুক্তিতে মূল মধ্যস্থতাকারীর প্রতিক্রিয়া, ''আমরা জাতীয় নিরাপত্তা, জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে অতি সন্তর্পণে এই চুক্তির বিষয় কথাবার্তা এগিয়েছি। আমরা আমেরিকা থেকে খাদ্যপণ্য কিনি। সেই প্রতিশ্রুতির কথাও ভাবা হয়েছে। তাতে আমাদের খাদ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। এতে আমাদের প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রও বাড়বে। বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় বাজার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।'' অর্থাৎ ট্রাম্পের শর্ত মেনে চুক্তিতে রাজি হওয়ার নেপথ্যে বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত মধ্যস্থতাকারীরা যে প্রয়াস চালিয়েছেন, তা কথায় কথায় স্পষ্ট।
