সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফেসবুক পোস্টে ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগ। জনতার বিক্ষোভের মুখে পড়লেন ঢাকার এক পড়ুয়া। কোরান অবমাননার অভিযোগে ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়াকে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলেও বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে ওই পড়ুয়াকে উদ্ধার করতে প্রায় হিমশিম খেতে হয়। প্রায় দু'ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হয়েছে। পরে ওই হিন্দু ছাত্রকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। জানা গিয়েছে, তাঁর ফেসবুক পোস্ট খতিয়ে দেখে ইসলাম ধর্ম অবমাননার প্রমাণ মিলেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে। পুলিশ সূত্রে খবর, অপূর্ব পাল নামে ঢাকার এক পড়ুয়া ফেসবুকে কোরান অবমাননামূলক পোস্ট করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। তাঁর সেই পোস্টের বিরোধিতায় বেশ কিছু ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। তা নিয়েই অশান্তির সূত্রপাত। অপূর্বকে গ্রেপ্তারির দাবি ওঠে। এর মধ্যে রাত ১টা নাগাদ অপূর্ব পালের বাসার সামনে জড়ো হতে থাকেন ক্ষুব্ধ জনতা। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করে ভাটারা থানার পুলিশ। প্রথমে তাকে আটক করতে জনতার সহায়তা চায় পুলিশ। জনতা সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়। এরপর পুলিশ অপূর্বকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। উত্তেজিত জনতা অপূর্বকে পুলিশের হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পরে বাড়তি পুলিশ ডেকে আনা হয়।
রাত প্রায় পৌনে তিনটে নাগাদ অপূর্বকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, “জনতার মারধরে আহত ওই শিক্ষার্থী বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” আরও জানানো হয়েছে, ফেসবুক আইডিতে কোরান অবমানার ভিডিওর সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন ওই শিক্ষার্থী। এই ঘটনার পর পরিবারের সদস্যরা নিরাপদ রয়েছেন বলে জানায় পুলিশ।
