সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ে অবশেষে হার মানলেন। প্রয়াত বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপি-র চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া (Khaleda Zia)। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। খালেদার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন কেটেছে একাধিক চড়াই উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে। বহু চর্চিত ‘জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট’ দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। এমনকী বিদেশে তাঁর প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে বলেও বারবার অভিযোগ উঠেছে।
২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামাত জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ‘শহিদ জিয়াউর রহমান চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’ নামে একটি সংগঠন তৈরি করেন খালেদা। অভিযোগ ওঠে, ওই ট্রাস্টের নামে অবৈধ উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হয়। অভিযোগে আরও বলা হয়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানম নামে একজনের কাছ থেকে ট্রাস্টের নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির প্রকৃত দামের থেকে কয়েকগুণ বেশি টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তবে সেই টাকার বৈধ কোনও উৎস আদালতে দেখাতে পারেনি ট্রাস্ট। ২০০১-২০০৬ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালীন খালেদা প্রায় ২ কোটি ১০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন বলেও অভিযোগ ওঠে। এখানেই শেষ নয়। ২০০৫ সালের ৯ জানুয়ারি তেজগাঁওয়ে একটি ব্যাঙ্কে সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্ট খোলেন খালেদা। অভিযোগও ওঠে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ওই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অবৈধ উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ এবং জমা করেন খালেদা। বহু চর্চিত এই দুর্নীতি মামলাতে দোষী সাব্যস্ত হন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে কারাদণ্ডেরও নির্দেশ দেয় আদালত। তবে পরে তিনি সেই মামলায় জামিন পেয়ে যান।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামি লিগ বারবার অভিযোগ করেছে, ছেলের নামে বিদেশে প্রচুর সম্পত্তি কিনে রেখেছেন খালেদা। বেলজিয়াম, মালেশিয়া, দুবাই এবং সৌদিতে তাঁর কোটি কোটি সম্পত্তি রয়েছে। তবে এই অভিযোগ বারবার খণ্ডন করেছে খালেদা এবং তাঁর দল বিএনপি। তবে মৃত্যুর পর কত সম্পত্তি রেখে গেলেন খালেদা? বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সম্পদের সুনির্দিষ্ট তথ্য জনসমক্ষে উপলব্ধ নয়। তবে একটি সূত্রের দাবি, বাংলাদেশে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৫ কোটি টাকার (বাংলাদেশি মুদ্রায়) কাছাকাছি।
