সুকুমার সরকার, ঢাকা: সাধারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে অব্যাহত রাজনৈতিক তরজা। আগেই ভোট বর্জন করেছে বিরোধীদল বিএনপি। এবার সেই পথেই হাঁটল বাম দলগুলো। বাংলাদেশ সমাজতন্ত্রী দল (বাসদ), বিপ্লবী কমিউনিস্ট লিগ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক পার্টি-সহ একাধিক বাম দল নির্বাচন বয়কটের ডাক দিয়েছে।
৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে জাতীয় সংসদের মোট ৩০০টি আসনে নির্বাচন। বিএনপি-জামাত-সহ সমমনা কয়েকটি দল নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নাগরিকদের কাছে ভোট বয়কটের আবেদন জানিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে প্রচারও শুরু করেছে তারা। এবার নির্বাচন বয়কট করে বাম দলগুলোর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আয়োজিত ভোট প্রক্রিয়া দেশকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সংকটের দিকে নিয়ে যাবে।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে ভারত, জানাল বিদেশমন্ত্রক]
উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর ঘোষণা করা হয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ। দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (CEC) কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। সঙ্গে সঙ্গেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলকে প্রত্যাখান করে দেয় প্রধান বিরোধী দল বিএনপি (BNP)। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানিয়ে দেন, “প্রধান নির্বাচন কমিশনার তফসিল জারির মাধ্যমে জাতির সঙ্গে তামাশা করেছেন। আমরা নির্বাচন হতে দেব না।”
বলে রাখা ভালো, ভোটমুখী বাংলাদেশে গত মাস দেড়েক ধরে তাণ্ডব চালাচ্ছে বিএনপি-জামাত গোষ্ঠী। চলছে অবরোধ-বন্ধ কর্মসূচি। এখনও পর্যন্ত অন্তত ৩৭৬ বাসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এই কাজ করার জন্য নাকি হামলাকারীদের দেওয়া হচ্ছে ৫ হাজার টাকার পুরস্কার! প্রকাশ্যে এসেছে এমনই তথ্য। যানবাহন ভাঙচুর করা ও আগুন লাগানোর ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি কর্মীদের ‘আগুনসন্ত্রাসী’ হিসাবে অভিহিত করেছেন।