সুকুমার সরকার, ঢাকা: বোনের নামে জমি লিখে দিয়েছিলেন মা। আর সেই কারণেই জন্মদাত্রী মাকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। স্বামীর ভিটে ছেড়ে আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই ওই বৃদ্ধার। আর ওই বাড়ি থেকে অন্য কোথাও যেতেও রাজি নন তিনি। তাই বাড়ির গেটের সামনে বসে শুধু চোখের জল ফেলছেন অসহায় বৃদ্ধা। এই ঘটনা বাংলাদেশের উত্তরের জেলা পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের চকমধুপুর গ্রামে।
জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধার নাম সাহিদা খাতুন। ছেলে শাহ আলম। এই ঘটনার পর মঙ্গলবার বিকেলে ওই বৃদ্ধার মেয়ে মাহফুজা আক্তার বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানা পুলিশ ও সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ দায়ের করেছেন। সাহিদা স্বামীর বাড়িতে একটি ঘর আছে। অথচ ছেলে ও নাতিরা তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছে না। তিনি কয়েকদিন আগে মাহফুজার বাড়িতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সাহিদা যখন বাড়িতে ফেরার চেষ্টা করেন তখন ছেলে ও নাতিরা তাঁকে মেরে বাড়ি থেকে বেড় করে দেয়।
অসহায় হয়ে সাহিদা খাতুন জানান, "ছেলের বউ আর নাতিরা আমাকে পিটিয়েছে। আমার স্বামীর পেনশনের টাকা দিয়ে ওই ঘর তৈরি করা হয়েছিল। সেই ঘরেই আমার জায়গা নেই। এই বয়সে কি কেউ স্বামীর ভিটা ছাড়তে চায়? আমার ছেলে আমাকে বহুবার মেরেছে। এবার আমাকে মেরে ফেললেও আমি যাব না কোথাও।" এই ঘটনায় এতটুকু অনুতপ্ত নয় শাহ আলম। তার কথায়, "মা জমি মেয়ের নামে লিখে দিয়েছেন। তাহলে তিনি মেয়ের বাড়িতে থাকবেন। আমার বাড়িতে তাঁর জায়গা নেই।" ভাইয়ের বিচারের দাবি করেছেন সাহিদার মেয়ে মাহফুজা আক্তার।