সুকুমার রায়, ঢাকা: ৮ দিনের লড়াই শেষ। মৃত্যু হল মাগুরার নির্যাতিতা নাবালিকার। বৃহস্পতিবার বেলা ১ টায় তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এদিকে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শুরু হবে ধর্ষণ মামলার বিচার প্রক্রিয়া।
ঘটনার সূত্রপাত ৬ মার্চ। ওইদিন সকালে বাংলাদেশের মাগুরার বাসিন্দা ওই নাবালিকাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ফরিদপুর মেডিক্য়ালে নিয়ে যায় পরিবার। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রেফার করা হয় ঢাকা মেডিক্যালে। এরপরই প্রকাশ্যে আসে নারকীয় ঘটনা। জানা যায়, দিদির শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল ৮ বছরের ওই নাবালিকা। সেখানে বোনের শ্বশুর, ভাসুর ও নাবালিকার জামাইবাবু তাকে ধর্ষণ করে। নাবালিকা আর্তনাদ করলে তার গলা টিপেও ধরে। কিন্তু বরাতজোরে প্রাণে বেঁচে যায় নাবালিকা। সেই থেকে হাসপাতালেই ভর্তি ছিল সে। বৃহস্পতিবার সকালে একবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ হয় তার। সিপিআর দেওয়ার পর তার হৃৎস্পন্দন ফিরে আসে। দুপুরে ফের ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’, এবারে সিপিআর দিয়েও কোনও লাভ হয়নি। ১ টায় নির্যাতিতাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এদিন ইউনুস সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, আগামী সপ্তাহেই শিশু ধর্ষণ মামলার বিচার শুরু হবে। তিনি আরও বলেন, এদিনই নাবালিকার ময়নাতদন্ত করা হবে। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়া যাবে। সাতদিনের মধ্যে বিচারকাজ শুরু হবে। প্রসঙ্গত, এদিন সন্ধ্যায় মাগুরার শিশুটির দেহ হেলিকপ্টারে ঢাকায় পাঠানো হয়। ইতিমধ্যেই নিজের বাড়িতে কবর দেওয়া হয়েছে দেহটি। ক্ষোভে ধর্ষক লিটু শেখ ও তার ছেলের বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে উত্তেজিত জনতা।