সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে বাড়ল প্রার্থীদের নিরাপত্তা। আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীর মধ্যে যাঁদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকি রয়েছে, তাঁদের গানম্যান ও বডিগার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তরবর্তি সরকার। পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) থেকে তাদের গানম্যান দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। আর ঢাকা মহানগর পুলিশ তাঁদের জন্য দেহরক্ষীর ব্যবস্থা করবে। প্রার্থী ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ যেসব মানুষের জীবনের ঝুঁকি রয়েছে, তাঁরাও একই সুবিধা পাবেন। নির্বাচন পর্যন্ত তাদের জন্য এমন নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির (Osman Hadi) উপর গুলি চালানোর ঘটনায় নির্বাচনে কোনও প্রভাব পড়বে না। এই কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, "ওসমান হাদির উপর হামলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। নির্বাচনে এসবের কোনও প্রভাব পড়বে না।"
ওসমান হাদিকে সোমবার দুপুরে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। রবিবার রাতে একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত দুদিন ধরে ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য সরকার সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ার কয়েকটি হাসপাতালে যোগাযোগ করেছে। জানানো হয়, 'বর্তমানে ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাক্সিডেন্ট ইমার্জেন্সি বিভাগে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।'
প্রসঙ্গত, নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরের দিনই ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য নির্দল প্রার্থী এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করার ঘটনা ঘটে। এরফলে, নির্বাচনে প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ কিছু ব্যক্তির নিরাপত্তা নিয়েও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পুলিশের আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, "প্রার্থীদের মধ্যে যাদের নিরাপত্তা নিয়ে ঝুঁকি রয়েছে, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। আবার রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ছাড়াও অন্য পেশার যারা ঝুঁকির তালিকায় রয়েছেন, তাদেরও একই ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া হবে। কেউ কেউ আমাদের সর্বক্ষণের নিরাপত্তার মধ্যে থাকবেন, আবার কারও জন্য টহলের ব্যবস্থা করা হবে।"
তিনি আরও বলেন, "গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক একটি কমিটি করে দিয়েছে। ওই কমিটি ঠিক করবে, কে কিরকম নিরাপত্তা পাবেন।" রবিবার থেকেই কয়েকজনের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে তিনি জানান। পুলিশের এক আধিকারীক বলেন, "নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ রাখার বিষয়টি অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।" পাশাপাশি, "সারাদেশে অপারেশন ডেভিল হান্টের দ্বিতীয় পর্যায় চলছে। অবৈধ ও লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে। চিহ্নিতদের গ্রেপ্তার করতে প্রশাসনকে বলা হয়েছে।"
