সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছাব্বিশের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশে। ততক্ষণ পর্যন্তই রাষ্ট্রপতি পদে থাকতে চান রাষ্ট্রপতি। তারপরই তিনি পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন, তাও আবার মেয়াদ শেষের আগেই। বৃহস্পতিবার ঢাকার বঙ্গভবন থেকে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছেন তিনি। কারণ হিসেবে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের 'উপেক্ষা'র কথা বলেছেন। অধ্যাপক মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার তাঁকে উপেক্ষা করায় 'অপমানিত' বোধ করেছেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।
সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জানান, নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে দায়িত্বে থাকতে হবে। রাষ্ট্রপতি হিসেবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থেকে এই দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। সাহাবুদ্দিনের অভিযোগ, প্রায় সাতমাস ধরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুস তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি। সেইসঙ্গে তাঁর প্রেস উইংও প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেপ্টেম্বরে বিদেশি মিশনগুলো থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এতেও তিনি 'অত্যন্ত অপমানিত' বোধ করেছেন বলে জানান। সাহাবুদ্দিনের অভিযোগ, ছবি সরানোর বিষয়ে জানতে চেয়ে ইউনুসকে চিঠি লিখলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের আরও অভিযোগ, প্রথমদিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী তাঁর পদত্যাগ দাবি করলেও সাম্প্রতিক সময়ে কোনও রাজনৈতিক দল তাঁকে সরে দাঁড়াতে বলেনি। বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদ নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী হলেও রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে রাষ্ট্রপতিই সশস্ত্র বাহিনীর আনুষ্ঠানিক সর্বাধিনায়ক। সাহাবুদ্দিন ওই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ্জামানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। ২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামি লিগ সরকারের পতন হলে সাহাবুদ্দিনই দেশে অবশিষ্ট একমাত্র সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।
এর আগে হাসিনা সরকারের আমলে ২০২৩ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি পদে বসেন মহম্মদ সাহাবুদ্দিন। ৫ বছর মেয়াদ তাঁর। হিসেবমতো ২০২৮ সালে রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু তার ২ বছর আগেই পদ ছাড়তে চাইছেন তিনি।
