সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই মুহূর্তে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি টালমাটাল। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। রাজনৈতিক পরিস্থিতিও স্থিতিশীল নয়। তাই আর দেরি নয়। আগামী আগস্ট মাসেই বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন সেরে ফেলতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এমনই দাবি জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন তথা বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
এখন ঢাকায় নেই খালেদা। চিকিৎসার জন্য তিনি রয়েছেন লন্ডনে। কিন্তু দলের চেয়ারপার্সনের অনুপস্থিতিতেও ভোটের দাবিতে সরব বিএনপি। এবার মুখ খুললেন খালেদা। রয়টার্স সূত্রে খবর, গতকাল তিনি বলেন, "নির্বাচন যত দেরিতে হবে সেটা দেশের জন্য ক্ষতিকর। এর প্রভাব পড়ছে রাজনীতি ও অর্থনীতিতে। তাই আগস্ট মাসেই জাতীয় নির্বাচন করার ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে।"
কয়েকদিন আগেই বিএনপি জানিয়েছিল, সাধারণ নির্বাচনের আগে স্থানীয় ভোট চায় না তারা। এনিয়ে নেতাদের বক্তব্য, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে তারা স্থানীয় নির্বাচন চান না। কারণ জনগণ এটা মেনে নেবে না। বিশ্লেষকদের মতে, এখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগ প্রায় ধুয়ে গিয়েছে। এই সুযোগে মাথাচারা দিয়েছে জামাত। ইউনুসের সরকারের উপর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে পাকপন্থী দলটির।
আর এদিকে, সংগঠন থাকলেও রাজনীতির ময়দানে সেই শক্তি নেই বিএনপির। কিন্তু হাসিনাহীন বাংলাদেশে এখন হারানো জমি ফিরে পেতে মরিয়া খালেদা জিয়ার দল। তাই তারা চাইছে আগে জাতীয় নির্বাচন হোক। কারণ জামাত এর আগে ভোটে লড়লেও খুব বেশি আসনে জয়লাভ করতে পারেনি। ইউনুসের এখন কোনও রাজনৈতিক দল নেই। ইউনুস সরকারও জানে হাসিনার দলকে টক্কর দেওয়ার মতো ক্ষমতা বিএনপিরই রয়েছে। তাই ঢাকার মসনদে বসলে স্থানীয় ভোটে সংগঠন আরও মজবুত করতে পারবে খালেদার দল। কারণ তা হলে জামাতের মৌলবাদীরা হাতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের। এছাড়া কোনও অন্তর্বর্তী সরকার স্থানীয় নির্বাচন করাতে পারে কি না, এই প্রশ্নও একাধিকবার করেছে বিএনপি।