shono
Advertisement

বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে গুলির লড়াই, নিকেশ রোহিঙ্গা জঙ্গি

রোহিঙ্গা শিবিরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে উদ্বিগ্ন প্রশাসন।
Posted: 10:59 AM May 16, 2023Updated: 10:59 AM May 16, 2023

সুকুমার সরকার, ঢাকা: রোহিঙ্গা শিবিরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে উদ্বিগ্ন প্রশাসন। বিগত দিনে একের পর এক রোহিঙ্গা নেতা খুনের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে অভিযান শুরু করা হয়েছে। সোমবার এমনই এক অভিযানে খতম হয়েছে এক জঙ্গি।

Advertisement

সোমবার উখিয়ার ১৭ নম্বর ক্যাম্পে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই হয়। সংঘর্ষে এক সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু হয়েছে। এখনও নিহত ব্যক্তির নাম জানা যায়নি। সংঘর্ষ শেষে গ্রেপ্তার করা হয় ১৭ নম্বর ক্যাম্পের মামুন রশিদ ও আবদুর রহমান নামের দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে। ধৃতদের কাছ থেকে দেশে তৈরি ২টি এলজি (লাইট গান) উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতরা ‘আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি’ বা আরসা-র সদস্য।

১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি সৈয়দ হারুন অর রশীদ স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানান, ক্যাম্পে একদল দুষ্কৃতীর অবস্থানের খবরে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের এক পর্যায়ে এপিবিএনকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা গুলি ছোঁড়ে। পালটা হামলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।

[আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধ সব রেলপথ চালুর প্রতিশ্রুতি রাজশাহির সহকারী হাই কমিশনারের]

উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা (Rohingya) শরণার্থী শিবিরের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় রোহিঙ্গা জঙ্গিগোষ্ঠী আরসা। কক্সবাজারে টেকনাফ এবং উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরগুলো পরিচালনায় সহায়তার জন্য প্রতিটি শিবিরে কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতা নির্বাচন করা হয়। যাদের মাঝি বলা হয়। মূলত, এদেরই নিশানা করে জঙ্গিরা। রোহিঙ্গা নেতাদের হিসাবে, গত এক বছরে কমপক্ষে ১২টি হত্যাকাণ্ড। পুলিশি অভিযান চালিয়েও তেমন কোনও সুরাহা মিলছে না। এ নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন প্রশাসন। প্রায় প্রতিদিনই খুনোখুনি, লুটপাটের ঘটনা ঘটে চলেছে।

জানা গিয়েছে, মায়ানমারের জঙ্গি সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি তথা আরসা-কে মদত দিচ্ছে পাকিস্তানের আইএসআই। আরসা সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীটির সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টালিজেন্স ও তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের মতো সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির যোগ দীর্ঘদিনের। ২০১৭ সালের আগস্টে আরসা মায়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালানোর পর থেকেই সেখানে সেনা অভিযান শুরু হয়। যার কারণে পরবর্তীতে সাড়ে সাত লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে (Bangladesh) এসে আশ্রয় নেয়। এর আগে চার লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীর মোট সংখ্যা ১১ লক্ষ। 

[আরও পড়ুন: গৃহযুদ্ধে রক্তাক্ত সুদান থেকে উদ্ধার ৫৫৫ বাংলাদেশি, জানালেন বিদেশমন্ত্রী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement