সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুরনো শত্রুতা, এলাকা দখল নিয়ে লড়াই। আর তার জেরে বাংলাদেশের রেস্তরাঁয় শুটআউট। গুলিতে নিহত হয়েছেন একজন। আহত অন্তত ৩। তাঁদের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে এখনও অধরা হামলাকারী। ঘটনার তদন্তে নেমে প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, দু'পক্ষের মধ্যে ডাকাতির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে বিবাদের জেরে এত বড় ঘটনা ঘটে গেল। হামলাকারীকে জালে এনে বিস্তারিত জানতে চায় পুলিশ।
জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি রেস্তরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন নূরজাহানপুর গ্রামের বাসিন্দা শিপন। সঙ্গে ছিলেন পাশাপাশি গ্রামের শফিকুলের ছেলে ইয়াসিন ও নূর আলম। দীর্ঘদিন ধরে নূরজাহানপুর গ্রামের শিপনের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে পাশের থোল্লাকান্দি গ্রামের রিফাতের বিরোধ চলছিল। মূলত এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ঝামেলা ছিল শিপন ও রিফাতের। শনিবার রাতে শিপন বন্ধুদের নিয়ে ওই রেস্তরাঁয় খেতে গেলে আচমকাই তাঁকে লক্ষ্য করে ধেয়ে আসে গুলিবৃষ্টি। শিপন, তাঁর বন্ধুরা এবং হোটেলের কর্মচারী গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। শিপনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বাকিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা যায় হাসপাতাল সূত্রে। এই হামলার পিছনে রিফাতই দায়ী বলে দাবি শিপন-ঘনিষ্ঠদের।
ঘটনার তদন্তে নেমে স্থানীয় নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ শাহিনুর ইসলাম জানিয়েছেন, শিপন বাহিনী ও রিফাত বাহিনীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ডাকাতির ভাগ বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে গুলিচালনার ঘটনা ঘটেছে। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অভিযুক্ত রিফাত এখনও অধরা, তাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। তবে স্থানীয় মানুষজনের নিরাপত্তায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ বাহিনী।
