সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৌলবাদ ও ভারত বিদ্বেষ এই দুই মন্ত্রকে হাতিয়ার করেই পথ চলতে চাইছে নয়া বাংলাদেশ। ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনেই তার ভিত্তি প্রস্তুত হল। বিশ্বের একাধিক দেশে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরি এবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠল বাংলাদেশে। তাদের লক্ষ্য ভারতজুড়ে 'খিলাফত' তৈরি। সেই উদ্দেশ্যে রাজধানী ঢাকায় লিফলেট বিলি শুরু করল হিজবুত তাহরি। যেখানে ভারত বিদ্বেষ ও হিন্দুদের বিরুদ্ধে জিহাদের বার্তা দেওয়া হয়েছে।
প্রচার পুস্তিকায় হিজবুত তাহরির সংগঠনের মধ্যে থেকে মুসলিম ঐক্য তৈরির আহ্বান জানানো হয়েছে। ভারতকে চরম শত্রু হিসেবে বর্ণনা করে দুই পাতার এই প্রচার পুস্তিকায় বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় ‘খেলাফত’ প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ। আরবি শব্দে এই 'খেলাফতে'র অর্থ হল বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে শরিয়ত শাসন। অর্থাৎ বলার অপেক্ষা রাখে না এই জঙ্গি সংগঠনের উদ্দেশ্য কী? জানা যাচ্ছে, সিরিয়ার মাটিতে নৃশংসতার নজির গড়া জঙ্গি সংগঠন আইএসআইয়ের সঙ্গে যোগ রয়েছে এদের। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের মাটিতে যেভাবে সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে তা চিন্তা বাড়াচ্ছে ভারতের।
৫ আগস্ট বাংলাদেশে হাসিনা বিদায়ের পর ৯ আগস্ট প্রকাশ্যে আসে হিজবুত। ওই দিন ঢাকায় এক জনসভার আয়োজন করে বাংলাদেশের মাটিতে খিলাফত বা শরিয়ত আইন প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি ইহুদি ও হিন্দুদের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করা হয়। হাসিনা আমলে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এই সংগঠনকে। শুধু বাংলাদেশ নয়, চিন, রাশিয়া, পাকিস্তান, জার্মানি, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া-সহ বহু দেশে নিষিদ্ধ করা হয় এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকে। চলতি বছরের জুন মাসে এই সংগঠনের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ। এহেন ভয়ংকর জঙ্গি সংগঠন এবার ইউনুসের শাসনে শক্তি বাড়াতে শুরু করল বাংলাদেশে।
উল্লেখ্য, হাসিনা বিদায়ের পর হিজবুত তাহরি তো বটেই জামাত-সহ আরও একাধিক জঙ্গি সংগঠন সক্রিয় হয়ে উঠেছে। জেল ভেঙে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বহু জঙ্গিকে। এর পরই বাংলাদেশ জুড়ে শুরু হয়েছে হিন্দু নিধন যজ্ঞ। সংখ্যালঘু মহিলাদের উপর অত্যাচারের পাশাপাশি বাড়ি-ঘর পোড়ানো ও খুন সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠেছে বাংলাদেশে। এসবের মাঝেই ভারতের মাটিতে সন্ত্রাসবাদের বীজ বপন করতে মাঠে নামল জঙ্গি সংগঠনগুলি।