সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী মামলা চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। তাঁকে আত্মসমর্পণের জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়েছে আদালত। আগামী ২৪ জুন সশরীরে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মুজিবকন্যাকে। তারই মধ্যে হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলায় বৃহস্পতিবার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করল আন্তর্জাতিক আদালত। নিয়োগ করা হয়েছে অ্যামিকাস কিউরি। এই মামলায় আদালতকে আইনি সহায়তার জন্য এক বর্ষীয়ান আইনজীবীকে নিয়োগ করল বিচারপতি গোলাম মর্তুজার ডিভিশন বেঞ্চ।
প্রশ্ন হল, অ্যামিকাস কিউরি কী? কোন ভূমিকা পালন করেন এই পদাধিকারী? জানা যাচ্ছে, আদালতে কোনও মামলায় যে কোনওরকম আইনি সহায়তার জন্য অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ করতে পারেন বিচারপতিরা। বিশেষত হাই প্রোফাইল মামলায় প্রয়োজন মনে করলে আদালত এই পদে কোনও বর্ষীয়ান, অভিজ্ঞ আইনজীবীকে নিয়োগ করে থাকে। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলা মামলা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর। তার উপর হাসিনা এই মুহূর্তে দেশছাড়া। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ না করলে তাঁর অনুপস্থিতিতে মামলার শুনানি শুরু হবে বলে জানিয়েছে তিন বিচারপতির বেঞ্চ। সেই কারণে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ করা হল।
বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি ছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। শুনানি শেষে প্রসিকিউটর গাজি মোনাওয়ার হুসেন তামিম সাংবাদিকদের জানান, বিচারের স্বচ্ছতা, আসামিদের আবার সুযোগ করে দেওয়া, আইনের সঠিক ব্যাখ্যা গ্রহণের জন্য ট্রাইব্যুনাল একটি নির্দেশ দিয়েছে। মামলায় মতামত গ্রহণ এবং ট্রাইব্যুনালকে সহায়তার জন্য অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ। সুপ্রিম কোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ করেছে ট্রাইব্যুনাল। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৫ জুন। ওইদিনের মধ্যে শেখ হাসিনাকে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।