সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'দ্বেষের' বাংলাদেশে গ্রেপ্তার অর্থনীতিবিদ আবুল বরকত। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চার দশকেরও বেশি সময় ধরে অধ্যাপনা করতেন তিনি। সংখ্যালঘু, প্রধানত হিন্দুদের দাবিদাওয়া নিয়েই সরব ছিলেন আবুল। এবার গ্রেপ্তার করা হল তাঁকে। তিনি জনতা ব্যাঙ্কের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন।
জানা গিয়েছে, গভীর রাতে তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়ে তল্লাশি চালাতে শুরু করে জনা কুড়ি পুলিশকর্মীদের একটি দল। এবং এরপর আবুলকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। তাঁর মেয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন।
বরাবরই নিপীড়িত হিন্দুদের হয়ে সরব হয়েছেন আবুল। পরিবর্তনের বাংলাদেশে ৩০ বছরের মধ্যে কোনও হিন্দুই অবশিষ্ট থাকবে না বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। জামাত-ই-ইসলামির মতো সংগঠনের বিরুদ্ধেও বারবার মুখ খুলেছেন। এমতাবস্থায় তাঁর গ্রেপ্তারিতে প্রশ্ন উঠছে অভিযোগের সারবত্তা নিয়ে। দাবি, মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের আগে ভিন্নমত পোষণকারীদের কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করতে এবং সমালোচকদের দমন করতে চাইছে। ধারণা করা হচ্ছে যে বরকত সরকারের স্পষ্ট সমালোচনা করার কারণেই প্রশাসনের রোষে পড়েছেন।
জুলাই অভ্যুত্থানের পর বদলে গিয়েছে বাংলাদেশ। বারবার হিন্দু উপাসনাস্থলে ও অন্যত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। আক্রান্ত হয়েছন বহু। নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে, এটাই কি ‘নতুন’ বাংলাদেশ? যেখানে যতদিন যাচ্ছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার বাড়ছে। যত সময় গিয়েছে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন চরম আকার নিয়েছে। বাড়ি-দোকানপাটে হামলার পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের পিটিয়ে মারারও অভিযোগ উঠেছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভু। ভাঙচুর হয়েছে ইসকনের মন্দিরেও। যা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে ভারত।
