সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'জিরো পোর্ট্রেট' নীতিতে লিখিত আদেশ ছাড়াই সরানো হচ্ছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিনের ছবি। বিদেশে বাংলাদেশের সব কূটনৈতিক মিশন, কনস্যুলেট, কূটনীতিকদের অফিস ও বাসভবন থেকে রাষ্ট্রপতির সরানোর নির্দেশ দিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। অঞ্চলভিত্তিক কয়েকজন রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারকে টেলিফোনে এই নির্দেশের কথা জানানো হয়েছে। কূটনৈতিক সূত্রে খবর, রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিনের ছবি সরাতে কোনও লিখিত নির্দেশ দেয়নি বিদেশ মন্ত্রক, স্রেফ ‘মৌখিক’ নির্দেশ ছিল।
বদলের বাংলাদেশে গত কয়েকমাস ধরে 'জিরো পোর্ট্রেট' নীতি বা কোনও ব্যক্তির ছবি না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউনুস সরকতকার। এক সংবাদসংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদেশে অবস্থানরত এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক বলেন, ‘‘আমি বলতে পারি, সদর দপ্তর থেকে লিখিত কোনও নির্দেশ ছিল না। তবে ইঙ্গিতটা বোঝার দরকার আছে। এ বিষয়ে দুটি দিক রয়েছে - ৫ আগস্ট, ২০২৪-এর পরিবর্তনের পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সরানো হয়েছিল। এরপর বিদেশ মন্ত্রকের উদ্যোগে মিশন প্রধানদের নিয়ে অনলাইনে একাধিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। যখন আমরা দেখি মন্ত্রকে কোনও ছবি নেই, তখন সেটা সংকেত দেয়। রাষ্ট্রপতির ছবিও কয়েক মাস আগেই সরানো হয়েছিল।'' তিনি আরও জানান, তাঁর ধারণা অধিকাংশ মিশন কয়েকমাস আগে থেকেই একই ‘জিরো পোর্ট্রেট’ নীতি অনুসরণ করেছে।
জানা গিয়েছে, ফোনকলে বিদেশ মন্ত্রক থেকে এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রকের এই নির্দেশের তথ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত দূতদের অন্য মিশনে জানিয়ে দিতে বলা হয়েছে। যদিও রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর এই নির্দেশিকা দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপের কয়েকটি মিশনের দূতরা পাননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বশীল এক কূটনীতিক জানান, ঢাকা থেকে কূটনৈতিক মিশন, কনস্যুলেট, কূটনীতিকদের কার্যালয় ও বাসভবন থেকে রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিনের ছবি সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠি বা ইমেল করা হয়নি।
