সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহেই ‘ছায়াবাজি’ ছবির শুটিংয়ে বাংলাদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Sayantika Banerjee)। অভিনেত্রীর সোশাল মিডিয়ায় উঁকি দিলেই পদ্মাপারের শুটিং সেট থেকে রিল ভিডিও, ছবি চোখে পড়েছে। কিন্তু দিন দুয়েক আগে আচমকাই কলকাতায় ফিরে সিনেমার পরিচালক, প্রযোজকদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন সায়ন্তিকা। জানান, “নাচের দৃশ্যে শুটের সময়ে অনৈতিকভাবে স্পর্শ করেন মাস্টারজি!” এবার সেই প্রেক্ষিতেই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে পালটা অভিযোগ আনলেন প্রযোজক মনিরুল ইসলাম।
সায়ন্তিকার অভিযোগ ছিল, “প্রথমে অন্য মাস্টারজি এসেছিলেন নাচের দৃশ্য শুটিংয়ের জন্য। কিন্তু সেখানেও টাকাপয়সা নিয়ে সমস্যার জন্য তিনি চলে যান। তার পর মাইকেল নামক ছেলেটি আসে। আমার থেকে অনুমতি না নিয়েই আমার হাত ধরে অনৈতিকভাবে। এই ধরনের আচরণ আমার পছন্দ নয়! আমি পেশাদার শিল্পী। এরকম আচরণ ঠিক নয়।” এই ঘটনার পর সায়ন্তিকা নাকি প্রযোজক, পরিচালককে যোগাযোগ করারও চেষ্টা করেন। তবে তাঁরা কোনওরকম সাড়া না দেওয়ায় তিনি বাংলাদেশ থেকে সোজা কলকাতায় চলে আসেন। এবার সায়ন্তিকার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক কথা বললেন ‘ছায়াবাজি’ প্রযোজক।
[আরও পড়ুন: ঠোঁটে জ্বলন্ত সিগারেট! চোখে সানগ্লাস, ‘অ্যানিম্যাল’-এর নতুন পোস্টারে রোমহর্ষক রণবীর]
পদ্মাপারের সংবাদমাধ্যমের কাছে মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, “সায়ন্তিকার সমস্ত অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যে। হাত ধরা নিয়ে মাইকেলের সঙ্গে সমস্যা হয়েছে। আমি তো মারতেও চেয়েছিলাম মাইকেলকে। কিন্তু সায়ন্তিকা আমার বিরুদ্ধে কেন অভিযোগ করছেন, সেটাই বুঝতে পারছি না। শুটিং হয় পরিচালকের সিদ্ধান্তে। আগে থেকে পরিকল্পনা ছিল গানের দৃশ্যের শুটিং হবে। চুক্তির বাইরে গিয়ে সায়ন্তিকাকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছি পোশাক কেনার জন্য কিন্তু উনি সেই পোশাক না নিয়েই চলে আসেন। এর পর পোশাকশিল্পীকে দিয়েও ওঁর জন্য একাধিক ড্রেসের ব্যবস্থা করেছিলাম। সেই পোশাকগুলোও ফেরত দেননি সায়ন্তিকা।” এরপরই বিস্ফোরক কথা প্রযোজকের মুখে।
মনিরুল জানান, “গানের দৃশ্যের শুটের আগে দুপুর ২টোর সময়ে নায়ক জায়েদ খানের (Zayed Khan) সঙ্গে পোশাক বদলানোর জন্য হোটেলে যান সায়ন্তিকা। কিন্তু ফেরত আসেন সন্ধ্যা ৬টার সময়ে। এত সময় লাগে একটা পোশাক বদলের জন্য? অপেশাদারিত্ব দেখিয়েছেন সায়ন্তিকা।”