অর্ণব দাস, বারাকপুর: বরানগরের ছাত্র মৃত্যুতে (Baranagar Student Death) নয়া মোড়। কলেজে দিনের পর দিন ব়্যাগিংয়ের শিকার হন প্রিয়রঞ্জন, অভিযোগ পরিবারের। সেই তথ্য তুলে ধরে মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন মৃতের দাদা। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই পড়ুয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল বরানগর। হাসপাতালের মূল গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। এসবের মাঝেই বিস্ফোরক মৃত প্রিয়রঞ্জনের পরিবার। তাঁদের দাবি, কলেজে দীর্ঘদিন ধরেই ব়্যাগিংয়ের শিকার হচ্ছিলেন ওই পড়ুয়া। পরিবারে তা জানিয়েছিলেন। এমনকী অ্যান্টি ব়্যাগিং সেলেও জানিয়েছিলেন। এরপরই মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ তুলে বরানগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের পরিবার। সেখানে কলেজের ২ সিনিয়রের নাম রয়েছে। অভিযোগ, তারা নাকি দীর্ঘদিন ধরে প্রিয়রঞ্জনকে বিরক্ত করত। বিভিন্নরকম হুমকি দিত। পরিবারের দাবি, এদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই মৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছেন প্রিয়রঞ্জন। বিষয়টা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছএ কলেক কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ।
[আরও পড়ুন: সরকারের তরফে আনা শীতবস্ত্র কোথায়? জেলাশাসককে ধমকে হিঙ্গলগঞ্জের সভা থামালেন মুখ্যমন্ত্রী]
প্রসঙ্গত, বরানগরের বনহুগলিতে প্রতিবন্ধীদের হাসপাতালের ছাত্র ছিলেন প্রিয়রঞ্জন। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার ওই কলেজে নবীনবরণ হওয়ার কথা ছিল। ফলে গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত চলে মহড়া। তারপর হস্টেলে নিজের ঘরে চলে যান প্রিয়রঞ্জন। কিছুক্ষণ পর তাঁর রুমমেটরা ঘরে গিয়ে দেখেন দরজা বন্ধ। ডাকাডাকি করলেও সাড়া মেলেনি। এরপরই দরজা ভাঙা হয়। উদ্ধার হয় পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ। এরপরই হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সহপাঠীরা।