অর্ক দে, বর্ধমান: ঠিক যেন শাহরুখ খানের ‘রইস’ সিনেমার কায়দা। মদ পাচারে ছোট্ট রইস আলম স্কুল ব্যাগ ব্যবহার করেছিল। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বেআইনি মদ পাচারের কারবারে জড়িয়েছিল। স্কুল ব্যাগে চোলাই থাকায় সন্দেহ করত না সিনেমার পুলিশ কর্তারা। ঠিক সেইভাবেই বাস্তবের এক বেআইনি মদের কারবারিও সেই পন্থা নিয়েছিল। কলেজ পড়ুয়ার বেশে বই-খাতার ব্যাগে করে পাচার করত বেআইনি মদ বা চোলাই। দিব্যি চলছিল দিনের পর দিন। সাহস বেড়ে যাওয়ায় স্কুল ব্যাগের সঙ্গে হাতে একটা থলিও নিচ্ছিল কিছুদিন ধরে। আর সেটাই কাল হল। পুলিশের জালে ধরা পড়ে গেল ওই চোলাই কারবারি।
সোমবার সন্ধেয় পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের বেড়ুগ্ৰাম থেকে খাঁটিকা মোড়ের দিকে হেঁটে যাচ্ছিল এক যুবক। তার পিঠে একটি স্কুল ব্যাগ ও হাতে একটি থলি ছিল। আচমকা অভিযান চালায় খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ। রাস্তার হাঁটতে থাকা ওই যুবককে তল্লাশি করতে গিয়ে পুলিশের চক্ষু চড়ক গাছ। যুবকের কাছ থেকে ছোট-ছোট পাউচে থাকা ৭০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাউচ গুলি সবই যুবকের পিঠে থাকা স্কুল ব্যাগ ও হাতে থাকা থলিতে ছিল।
[আরও পড়ুন: Madhyamik Exam 2022: ফাঁস মাধ্যমিকের ইংরাজি প্রশ্নপত্র! ভুয়ো বলে দাবি পর্ষদ সভাপতির]
চোলাই পাচারের এই অভিনব কায়দা অবাক করেছে পুলিশকে। সাধারণভাবে ব্যাগের মধ্যেই ছোট পাউচে করে চোলাই নিয়ে গিয়ে অন্যত্র পাচার করার এই পদ্ধতি পুলিশের চোখে ফাঁকি দেওয়ার জন্যই কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশপাশি, এইভাবে চোলাই পাচারের ক্ষেত্রে কোনও চক্র রয়েছে কিনা সেই বিষয়েও তদন্ত করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম বাপন রুইদাস । বাড়ি বাঁকুড়ার পাত্রসায়র থানার তেরুল গ্ৰামে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই যুবক কোথায় চোলাই পাচার করছিল। তার সঙ্গে আরও কারা যুক্ত রয়েছে পুরো বিষয়টিতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। বর্ধমান সদর দক্ষিণে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বর্ধমান সদর (দক্ষিণ) সুপ্রভাত চক্রবর্তী জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই চোলাই পাচার সংক্রান্ত তথ্য মিলেছিল। তাতে একটি নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা গিয়েছিল। এদিন সন্ধ্যায় পুলিশের অভিযানে সেই ব্যক্তির কাছ থেকেই চোলাই উদ্ধার হয়েছে। ব্যক্তির কাছে থাকা ব্যাগ ও থলি থেকে চোলাই পাওয়া গিয়েছে। ধৃতকে মঙ্গলবার বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়েছে।