স্টাফ রিপোর্টার: পশ্চিমি ঝঞ্ঝা বিদায়ের পথে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ধীরে ধীরে নামবে রাজ্যের তাপমাত্রা। বাড়বে শীতের প্রকোপ। আর শীত বাড়া-কমার মধ্যেই বিভিন্ন সময় রাজ্যজুড়ে হচ্ছে বৃষ্টি। কোথাও মুষলধারে, কোথাও আবার ঝিরঝিরে। মেঘ জমলেই ফের বাড়বে তাপমাত্রা। এমতাবস্থায় সতর্ক করছেন চিকিৎসকরা।
জনস্বাস্থ্য আধিকারিক অনির্বাণ দলুই জানান, রাতের দিকে শীত শীত। দুপুরে রোদের আঁচ, এই দু’ধরনের তাপমাত্রায় ভাইরাস-ব্যাকটিরিয়াদের পোয়াবারো। দিন-রাতের তাপমাত্রার ওঠানামার ফলে কিছু কিছু ভাইরাস (Virus) আর ব্যাকটিরিয়া আঘাত হানবে। চিকিৎসকদের সতর্কবাণী, তাপমাত্রার এই দ্রুত পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারে না শিশু এবং বৃদ্ধরা। ফলে অনেকেই আক্রান্ত হতে পারেন জ্বর-সর্দি-কাশিতে।
এদিকে কোভিডের (COVID-19) নতুন স্ট্রেন ওমিক্রনের উপসর্গও যে এক! তাহলে করোনা (Coronavirus) হয়নি বোঝা যাবে কেমন করে? এই প্রশ্নেই আতঙ্কে হাত-পা ঠান্ডা আমজনতার। চিকিৎসক অনির্বাণ দলুইয়ের কথায়, “শীতের মধ্যে আকস্মিক বৃষ্টিতে ফুসফুসের শত্রু ভাইরাসের আক্রমণ ক্ষুরধার হবে। আচমকাই দেখবেন বাড়ির খুদেটার গলা খুশখুশ। নাক দিয়ে জল পড়ছে। হাঁপানি রোগীর মতো দফারফা অবস্থা।” চিকিৎসকরা বলছেন, “দু’ধরনের আবহাওয়ায় ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, রাইনোভাইরাস, রেসপিরেটরি সিনসাইটিয়াল ভাইরাসের আঘাতেই দেখা যায় ঘনঘন ফুসফুসে সংক্রমণ।”
[আরও পড়ুন: ‘তালিবান মনে করে আমার শরীরটাও ওদের’, বিস্ফোরক দাবি একমাত্র আফগান পর্ন তারকার]
ডা. অনির্বাণ দলুইয়ের পরামর্শ, “লক্ষ্য রাখতে হবে কোনওভাবেই যেন শিশুদের ঠান্ডা না লাগে। আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয় থেকে দূরে থাকতে হবে। খাবার সবসময় গরম করে খেতে হবে। অসময়ের এই বৃষ্টিতে কোনওভাবেই মাথা ভেজানো যাবে না।” শীতের বৃষ্টিতে ডেঙ্গুর মশার ডিম ফুটতে ও ডিম থেকে বেরনো শূককীটের তাড়াতাড়ি বাড়তে সুবিধা হয়। সেজন্য মশারির ব্যবহার করতে বলছেন চিকিৎসকরা।
জনস্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, বাড়িতে কারও জ্বর হলে কোভিড টেস্ট (Covid Test) করিয়ে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। পুরনো প্রেসক্রিপশন ঘেঁটে ওষুধ না খাইয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। প্রসঙ্গত, বুধবার রাজ্যজুড়ে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা। উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান এবং উপকূলবর্তী দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়ও হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।