সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিরে (Diamond) মানেই মহার্ঘ। তার উপর একটি হিরের টুকরোর মধ্যে যদি থাকে আরও একটি হিরে! সম্প্রতি এমনই এক আশ্চর্য বহুমূল্য রত্নের খোঁজ মিলেছে। সুরাটের (Surat) একটি ফার্ম ওই হিরে আবিষ্কার করেছে বলে জানা গিয়েছে। ০.৩২৮ ক্যারট ওই পাথরের নাম দেওয়া হয়, ‘বিটিং হার্ট’। চমকে দেওয়া জোড়া রত্নের বড় পাথরটিকে ঝাঁকালে নড়ে উঠছে ভিতরের হিরের টুকরো। কিন্তু ‘বিটিং হার্ট’ নামকরণ কেন?
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সুরাটের সংস্থা ভি ডি গ্লোবাল অভূতপূর্ব হিরেটি আবিষ্কার করেছিল ২০২২ সালের অক্টোবর মাসেই। যদিও ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে সম্প্রতি। রত্ন বিশেষজ্ঞ তথা গবেষকদের দাবি, হিরে সন্ধানের ক্ষেত্রে এই পাথর গুরুত্বপূর্ণ। এটিকে বিরলতম হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তাঁরা। ভি ডি গ্লোবাল সংস্থার চেয়ারম্যান বল্লভ বঘাসিয়া বলেন, “প্রাথমিক ভাবে এই পাথরটি দেখার পরেই আমাদের যে অনুভূতি হয়েছিল, তা থেকেই এর নাম রাখা হয়েছে ‘বিটিং হার্ট’।” পাথরটিকে চিহ্নিত করার পর চমকে উঠেছিলেন সকলেই।
[আরও পড়ুন: LIC এজেন্ট থেকে ভারতের বয়স্কতম কোটিপতি, কে এই লছমন দাস মিত্তল?]
ভি ডি গ্লোবালের তরফ থেকে এই পাথরটিকে যাচাইয়ের জন্য ব্রিটেনের মেইডেনহেডের একটি কারখানায় পাঠানো হয়েছিল। ইতিমধ্যে সেই রিপোর্ট চলে এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, একেবারে বিরল নয় ‘বিটিং হার্ট’। ২০১৯ সালে রাশিয়ার সাইবেরিয়ায় আবিষ্কার হয়েছিল ‘ম্যাট্রিওশকা’। এটি সেই জাতের হিরে। তবে কোনও ভারতীয় সংস্থা এই প্রথম এমন হিরের সন্ধান পেল। হিরে বিশেষজ্ঞ সামান্থা শিবলে বলেন, “আমি হিরে নিয়ে কাজ করছি গত ৩০ বছর। ‘বিটিং হার্ট’-এর মতো কিছু কখনই দেখিনি।”