রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ফের বঙ্গ বিজেপিতে (BJP) অমিতাভ চক্রবর্তীর ক্ষমতা খর্ব করল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তিনদিনের প্রশিক্ষণ শিবির শেষে রাজ্যের ১৮ সাংগাঠনিক জেলার দায়িত্ব পেলেন সতীশ ধন্দ। এর মধ্যে তাৎপর্যপূর্ণভাবে রয়েছে হাওড়া, হুগলি, দুই বর্ধমান, আসানসোলের পাশাপাশি বোলপুর, বীরভূমও।
রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় ছিল। কেউ অভিযোগ করেছেন সাংগঠনিক কাজকর্ম ঠিকঠাকভাবে চালনা করতে পারছিলেন না অমিতাভ। আদি বিজেপিরাও তাঁর উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে তাঁরা অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এরপর ২১ জুলাই নতুন একজনকে তাঁর সহযোগী হিসেবে নিয়োগ করে দিল্লির নেতৃত্ব। রাজ্য বিজেপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) হিসেবে নিয়োগ করা হয় সতীশ ধন্দকে। গোয়ায় বিজেপিকে ক্ষমতায় আনার কারিগর ছিলেন তিনিই। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই পদক্ষেপের পরই একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে অমিতাভ চক্রবর্তীর ক্ষমতা খর্ব করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘আমি নির্দোষ’, মঙ্গলকোট মামলায় বিধাননগর এমপি-এমএলএ আদালতে দাবি অনুব্রতর]
বুধবার অমিতাভ চক্রবর্তীর ডানা আরও কিছুটা ছাঁটে দিল্লির নেতৃত্ব। রাজ্যের ৩৯টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে সতীশ ধন্দের হাতে ১৮টি সাংগাঠনিক জেলার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়। রাজনৈতিক মহল বলছে, বঙ্গ বিজেপির অন্দরে ক্রমশ গোষ্ঠীকোন্দল বাড়ছে। ফাটল আরও স্পষ্ট হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বঙ্গ বিজেপির রাশ আরও বেশি করে নিজেদের হাতে নিতে চায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, অমিতাভ চক্রবর্তী শিবিরের সঙ্গে দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়দের দূরত্ব নতুন নয়। এখানে আদি বনাম নব্য বিজেপির চিরাচরিত সংঘাত। নানা কর্মসূচিতে এক শিবির উপস্থিত থাকে তো, অন্যরা থাকে না। এই সমস্যা সমাধানে একাধিকবার দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বার্তা দিয়েছিলেন মুরলিধর সেন লেনকে। কিন্তু সেভাবে সুরাহা হয়নি। এবার সেই দ্বন্দ্ব ঘোচাতে বঙ্গ বিজেপি সংগঠন নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিলেন জে পি নাড্ডা। অমিতাভ চক্রবর্তীর (Amitava Chakroborty) সঙ্গে এবার থেকে বাংলায় সংগঠনের দায়িত্ব সামলাবেন গোয়ার সতীশ ধন্দ।