সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোদি সময় দেননি। শেষে অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করে রাজ্য সংঠনের ‘অসহায়তা’র কথাই কার্যত মেনে নিল বঙ্গ বিজেপির নেতারা। সূত্রের খবর, সুকান্ত মজুমদাররা শাহর কাছে দ্রুত CAA চালু করার দাবি জানিয়ে এসেছেন। যদিও অমিত শাহ তাদের নির্দিষ্টভাবে কোনও প্রতিশ্রুতি দেননি বলেই খবর। তিনি বঙ্গ নেতাদের সবুর করার বার্তা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
এদিন অমিত শাহর (Amit Shah) সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যে সংগঠনের বর্তমান পরিস্থিতি, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেইসঙ্গে দল পঞ্চায়েত ভোটের জন্য প্রস্তুত বলে জানানো হয়েছে। শোনা গিয়েছে দেশে দ্রুত CAA কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির সাংসদরা। কিন্তু শাহ তাতে আমল দেননি। তিনি জানান, অন্তত দিন ১৫ সময় না দিলে এ নিয়ে কিছু বলবেন না। পালটা শাহ নিচুতলায় সংগঠনের হাল হকিকত সম্পর্কে জানতে চান। বুথ কমিটি গঠন কোন পর্যায় রয়েছে, বুথ সম্পর্ক অভিযান শেষ করা হয়েছে কিনা বা মানুষের মধ্যে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে তা জানতে চান সাংসদদের কাছে। তিনি রাজ্যে দলের অভ্যন্তরের গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল। তাই কোনও মন্তব্য করেননি। তবে নিচুতলায় সংগঠন শক্তিশালী করার পরামর্শ দেন বলে জানিয়েছেন এক সাংসদ।
[আরও পড়ুন: হাঁসফাঁস গরম থেকে মুক্তি দিতে চলতি সপ্তাহেই ফের বৃষ্টিতে ভিজবে বাংলা, সুখবর শোনাল হাওয়া অফিস]
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ঝটিকা সফরে রাজধানী ঘুরে যেতেই বঙ্গের বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করেন প্রধানমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে কথা বলতে হবে বলে সোমবার রাতেই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়। তারপরই রাত থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত একপ্রস্ত নাটক চলে বঙ্গ সাংসদ শিবিরের অভ্যন্তরে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক বাতিল হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হবে বৈঠক। রাতেই লিখিত বার্তা পাঠান হয় সাংসদদের। তবে এদিন বেলা গড়িয়ে যাওয়ার পরেও অনেক সাংসদই বিষয়টি জানতেন না সূত্রের খবর। আবার অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠক হবে জানলেও সময় সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন না। ফলে কয়েকজন সাংসদ সকালে প্রস্তুতি নিয়ে সংসদে চলে আসার পর বৈঠকের বিষয়ে জানতে পারেন। তবে রাতে অমিত শাহর বাসভবনে বৈঠকে বসেন বঙ্গ সাংসদরা। তবে কেন প্রধানমন্ত্রী সময় দিয়েও বাতিল করলেন তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে সাংসদদের মধ্যে। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি বিরোধী দলনেতার ঝটিকা সফর বৈঠক বাতিল হওয়ার অন্যতম কারণ। গেরুয়া শিবিরের সাংসদদের মধে্য জল্পনা শুরু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: তিহাড়েই থাকতে হবে আরও ৪ মাস, দিল্লি হাই কোর্টে ফের পিছল অনুব্রতর জামিনের আবেদনের শুনানি]
এককভাবে কখনও শুভেন্দু অধিকারী। আবার কখনও লকেট চট্টোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এককভাবে সাক্ষাৎ করেছেন। কিন্তু এই নিয়ে চারবার। বঙ্গের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করলেন প্রধানমন্ত্রী। কেন দলেরই সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে মোদীর অনীহা তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সাংসদ জানান, দলের অভ্যন্তরে যেভাবে গোষ্ঠীকোন্দল শুরু হয়েছে তাতে বিরক্ত প্রধানমন্ত্রী। সেকারণে আগে দিল্লিতে এলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিজেই ডেকে নিতেন। কিন্তু পরপর দু’বার বিরোধী শুভেন্দুকেও সময় দেননি মোদি। অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেই বিমান ধরতে হয়েছে তাঁকে। এবার সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করলে গোষ্ঠীকোন্দল আরও মাথাচাড়া দিতে পারে। বিষয়টি স্পষ্ট হতেই প্রধানমন্ত্রী বৈঠক বাতিল করেন বলে মনে করেন বঙ্গ বিজেপির ওই সাংসদ।